কুমিল্লার
গোমতী নদীর বাঁধঘিরে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা, ঘর-বাড়ি ও দোকান পাট উচ্ছেদে
অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। বুধবার (১৮ জুন) সকালে কুমিল্লা সদর উপজেলার
উত্তর দূর্গাপুর ইউনিয়নের আমতলী ও আড়াইওরা গ্রামে বেড়িবাঁধের উপর গড়ে উঠা
শতাধিক অবৈধ বসতভিটা, ঘরবাড়ি ও দোকানপাট উচ্ছেদ করে জেলা প্রশাসন ও পানি
উন্নয়ন বোর্ড।
উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন সদর উপজেলার সহকারী ভুমি
কমিশনার (ভূমি) তানজিনা জাহান। এসময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা,
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক টিম এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, পানি
উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবি) মালিকানাধীন গোমতী নদীর কুমিল্লা সদর উপজেলার এই
অংশে প্রায় ৫০০-৬০০ পরিবার দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছে। বাঁধের উপর ও
আশপাশে অবৈধভাবে গড়ে উঠা এসব বসতি ও দোকানপাট বাঁধকে দুর্বল করে তোলে এবং
বন্যার সময় ভয়াবহ বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
বেড়িবাঁধে বাড়ি নির্মাণ
করাখোরশেদ মিয়া বলেন, আমরা নিজেরাই এগুলা সরিয়ে নিচ্ছিলাম। কিন্ত আমাদেরকে
সুযোগ দিচ্ছে না। যদি এভাবে সব ভেঙে ফেলে না দিত তাহলে আমরা এগুলো নিয়ে পরে
কাজে লাগাতে পারতাম।আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে আবেদন করেছি যেন তারা
আমাদেরকে সময় দেয়। কিন্ত সেই আবেদন গ্রহণ করেন নাই। আমাদের যদি নতুন বাড়ি
করার সক্ষমতা থাকতো তাইলে তো আর এখানে বাস করতাম না।
পানি উন্নয়ন
বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খান মুহাম্মদ অলিউজ্জামান বলেন, আমরা প্রায় ১৪
দিন আগে থেকে এখানের বাসিন্দাদের আগাম বার্তা দিয়েছি, যেন তারা কিছু
ঘর-বাড়ি ও মালামাল সরিয়ে নেয়। মূলত পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে এখানে অনেক
জায়গা থাকলেও আমরা শুধু বেড়িবাধের প্রয়োজনে যেটুকু উচ্ছেদ করা দরকার
সেটুকুই করছি।
কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)
তানজিনা জাহান বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের করা ১০৯ টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
করার জন্য অভিযান পরিচালনা করেছি । প্রায় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা
হয়েছে। এই অবৈধ স্থাপনার জন্য গোমতী বেড়ীবাঁধ মেরামত করা যাচ্ছে না। তাই
আজকে উচ্ছেদ করা হয়েছে।