সোমবার ৯ ডিসেম্বর ২০২৪
২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
লাশ পোড়ানো আশুলিয়া হত্যাযজ্ঞ
মাসুক আলতাফ চৌধুরী
প্রকাশ: শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১:৩৩ এএম আপডেট: ০৭.০৯.২০২৪ ২:৩১ এএম |

 লাশ পোড়ানো আশুলিয়া হত্যাযজ্ঞ
দেশজুড়ে তখন বিজয় মিছিল। তারপরও থেমে ছিল না কতিপয় পুলিশের উন্মত্ততা। আশুলিয়া থানা রোডের গুলিবিদ্ধ লাশ জড়ো করে পুড়িয়ে দিয়েছিল পুলিশ। ইতিমধ্যে মাষ্টারমাইন্ড অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুল্লাহিল কাফিকে পালিয়ে যাওয়ার সময় বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রিকশাভ্যানে লাশ তোলার অপর দুই পুলিশ সদস্যকেও চিহ্নিত করা হয়েছে বলে দাবী পুলিশের।  ঘটনাতো ৫ আগষ্ট বিকালের, তখন সরকার পালিয়েছে। এরপরও গত তিন সপ্তাহ ধরে দেশবাসী জানতে পারলো না,  সেদিন কোন পুলিশ, কেন এমন গা শিউরে ওঠা নিষ্ঠুর ঘটনা ঘটালো।
সেদিন বৃষ্টিরমতো গুলি ছুঁড়েছে পুলিশ। নিজেদের রামরাজত্ব শেষ জেনেও তখনও কেন ক্ষান্ত হয়নি পুলিশ। আশুলিয়া কি বাংলাদেশের ভূখন্ডে নয়। ক্ষমতার মোহ তাদের অন্ধ করে রেখেছিল। হত্যা-গুম- ক্রসফায়ারে দায়মুক্তি পেতে পেতে তারা হয়ে উঠেছিল দানব।
বিজয়ের দিন ৫ আগস্ট সকাল ৯ টা থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত নিপীড়ক পুলিশ, স্থানীয় এমপি সাইফুল ইসলাম ও তার ক্যাডার বাহিনী ছাত্রলীগ-যুবলীগের  গুলিতে আশুলিয়ায় নিহত হন অন্তত ৩১ জন। পরদিন গুরুতর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১৫ জন মারা যান। স্থানীয়দের মতে মৃতের সংখ্যা আরও বেশি। ওই সময়ের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৬ জনে। এছাড়া গুলিবিদ্ধ হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল দেড় হাজারের বেশি মানুষ। যাদের অনেকেই পঙ্গু হয়ে গেছেন। যাদের আগুনে পোড়ানো হয়েছে তারা তাদের বেশির ভাগই ছাত্র। সাভার ও আশুলিয়ায় ১৮ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে মারা যায় অন্তত ৭৫ জন। এরপরও ঘটনা অনেকটাই ধামাচাপা পড়ে থাকে। এরপরও কেমন করে অলক্ষ্য হয়ে পড়া এমন নির্মম সত্য বেরিয়ে আসলো জনসম্মুখে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম- ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছিল এক মিনিট ১৪ সেকেন্ডের একটি ভিডিও। সেখানে দেখা যায় গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে থাকাদের  দু' জন পুলিশ সদস্যের একজন হাত ও অন্যজন পা ধরে রিকশাভ্যানে নিক্ষেপ করছে। নিথর দেহ, দেহে প্রাণ ছিল কিনা জানা যায়নি। তবে গনমাধ্যম মৃতই বলেছে। এর আগেই রিকশাভ্যানে লাশের স্তূপ করে কাপড় দিয়ে ঢেকে দেন তারা। সর্বশেষ লাশটি তুলে একটি পরিত্যক্ত ব্যানার দিয়ে সেগুলো ঢেকে দেওয়া হচ্ছে। শেষে পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি স্পষ্টত দেখা মিলে।
ওই ভিডিওর সূত্র ধরে ৩১ আগষ্ট শনিবার  জাতীয় দৈনিক মানবজমিনের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে ঘটনার বিস্তারিত। যদি কেউ সাহস নিয়ে ভিডিও না করতেন, এবং পরে তা ফেসবুকে না ছাড়তেন তবে কি এমন নিষ্ঠুরতাও সবার অলক্ষ্যেই থাকতো।  ভিডিওটি আশুলিয়া থানার সামনের ভবনের দ্বিতীয়তলা থেকে ধারণ করা। স্থানীয়রা সব দেখেছে- জেনেছে। লাশতো হয়েছে তাদের নিকটজন- স্বজনরা। বুলেটে আহত- পঙ্গুতো তারাই হয়েছে। তারপরও ঘটনাস্থল ওই উপজেলা থেকেই কেন সংক্ষুবব্ধতা বা প্রচন্ড প্রতিবাদ-বিস্ফোরণ ঘটলো না। দেশবাসীর বিস্তারিত  জানতে হলো ফেসবুকের সূত্র থেকে। ওখানকার সাংবাদিকতা কেন থেমে ছিল। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন এমন নিষ্ঠুরতা জনগনের সামনে তুলে ধরতে পারলো না। এসবের উত্তর খোঁজা জরুরি। এতগুলো প্রাণ বৃথা যেতে পারে না। এরাইতো বিজয়গাঁথা তৈরি করেছে। এতো তাড়াতাড়ি এদের ভুলে গেলে বিজয় সুসংহত হবে কেমন করে। পরিবর্তন চাইলে আগে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। অপরাধ জনসম্মুখে তুলে ধরতে হবে।
ওই প্রতিবেদন বলছে, রিকশাভ্যানে পুলিশের  লাশের স্তুপ করে রাখা মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে আশুলিয়া বাইপাইল এলাকার থানা রোডের গলিতে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দিন ৫ আগষ্ট সেখানকার ইসলাম পলিমারস অ্যান্ড প্লাস্টিসাইজারস লিমিটেডের অফিসার কোয়ার্টারের দেয়াল ঘেষে গুলিবিদ্ধ ৬ ছাত্রের লাশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে ছিল। পুলিশ লাশগুলো একত্রিত করে ভ্যানের ওপর স্তুপ করে রাখে। পরে লাশগুলো থানায় পার্ক করা একটি পিকআপে তুলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়, বিভ্যৎস।
ভিডিওতে একটি পোস্টার দেখা যায়। যা স্থানীয় ধামসোনা ইউনিয়ন সভাপতি প্রার্থী ও ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী আবুল হোসেনের। সেই পোস্টারটি দেখে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে ভিডিওটির ঘটনাস্থল আশুলিয়া থানার পাশে। মহাসড়ক থেকে থানার দিকে অগ্রসর হয়ে এসবি অফিসের দিকে চৌরাস্তায়ও রিকশাভ্যানে লাশ তোলা হয়। 
কেন এমন করলো পুলিশ। হাসিনা সরকারের পতনের দিন প্রকৃতপক্ষে কী ঘটেছিল আশুলিয়ায়, কেন ঘটলো। প্রত্যক্ষদর্শী মোঃ হুমায়ূন কবিরের ভাষ্য, সেদিন আশুলিয়া থানার পার্শ্ববর্তী অলিগলি কিংবা রাস্তা ছিল অনেকটা যুদ্ধক্ষেত্রের মতো। এলাকার বেশিরভাগ মানুষ তাদের বাড়ির ভেতরে ছিলেন। নিজেদের বাসায়ও নিরাপত্তার অভাব ছিল।পুলিশের ছোড়া গুলির গর্জনে চারদিক ছেয়ে গেছে, গুলি কখন কার জানালা দিয়ে ঘরের ভেতরে ঢুকে পড়ে সে আতঙ্কে ছিলেন এলাকাবাসী। দুপুর সাড়ে ১২ টার আমার পরিচিত একজন গুলি খেয়ে রাস্তায় পড়ে ছিল। এরপর থেকে বেশ ক'বার তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা করি। বিকেল ৫ টার দিকে পুলিশ চলে যাওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা ঘটনাস্থলে যেতে পারিনি। শেষ পর্যন্ত গিয়ে তাকে মৃত অবস্থায় পাই। হত্যাযজ্ঞের পর পুলিশের পিক-আপ ভ্যানে পোড়ানো ৬ টি লাশ পাওয়া গেছে। পরিবার ৪ টি লাশ চিনেছে, নিয়ে গেছে। বাকি অজ্ঞাত দু' জনকে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়। 
পুলিশের কারা লাশগুলো পোড়ালো। থানার কাছাকাছি একটি ভবনের বারান্দা থেকে ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখেছেন এমন একজন প্রত্যক্ষদর্শীর খোঁজ পাওয়া যায়। ভিডিও রেকর্ড করেন তিনি। তার ভাষ্য, দুপুর ২টা ৪০ থেকে ২ টা ৫০ এর মধ্যে পুলিশ ভ্যানে আগুন লাগানো হয়েছিল। থানায় মামুন নামের এক পুলিশ সদস্য আরেকটি পুলিশের গাড়ী থেকে একটি খবরের কাগজ নিয়ে লাশ বোঝাই পুলিশ ভ্যানে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সংক্রান্ত কিছু ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। যা থেকে আগুন দেওয়ার শুরুর সময়টার চিত্র পাওয়া যায়। ওই ফুটেজে কিছু পুলিশ সদস্যকে ঘটনাস্থলের ২০ ফুটের মধ্যে দেখা গেছে। সে সময় পুলিশের দখলে থাকা ওই এলাকায় কোন সাধারণ মানুষকে দেখা যায় নি।
আরেক প্রত্যক্ষদর্শী এক অটোরিকশা চাওইদিন প্রাণ হারানো দশম শ্রেণির ছাত্র আসশাবুর। তার বড়ভাইয়ের ভাষ্য, গুলিবিদ্ধ আমার ছোট ভাই থানার পাশের রাস্তায় পড়ে ছিল। পিকআপে ঢুকিয়ে তাকেও আগুন দেওয়া হয়। গায়ের নীল গেঞ্জি দেখে পোড়া লাশ শনাক্ত করি। আগুন দেওয়ার আগে ভাইটি জীবিত না মৃত ছিল তা জানার সুযোগও আমাদের হয়নি।
এদিকে পুলিশের আত্মসমর্পনের ঘোষণা তারপরও গুলি চালানো নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আন্দোলনকারী দশম শ্রেণির এক ছাত্রের ভাষ্য, ৪ আগস্ট রাস্তায় কিছুটা নামা গেছে। ৫ আগস্ট দিনটা ছিল ভয়ঙ্কর। বাসা থানার কাছে থাকায় সব দেখতে পেরেছি। মসজিদের মাইক থেকে পুলিশ জনগণের সাথে রয়েছে ও আত্মসমর্পণ করেছে এমন ঘোষণা দেওয়া হয়। তারপরও গুলি চালানো হয়েছে। তখন দুপুর আড়াইটা হবে। শেখ হাসিনা পালিয়েছেন, এমন খবর আসার পরও পুলিশের বুলেটে মানুষ মারা গেছে। থানার মূল ফটক থেকে ৫০ ফুট দূরে বালির বস্তায় তৈরি অস্থায়ী চৌকি  ছিল। বালির বস্তার পাশে কয়েক ফুট দূরে পুলিশের গুলিতে মানুষ মারা যাচ্ছিল। এখনও পাশের দেয়ালে এমন কি কাছাকাছি দোকানের মেঝেতেও বুলেটের চিহ্ন খুঁজে পাবেন। থানার সামনে থেকে পুলিশের গুলি ছোঁড়ার বেশ কয়েকটি ভিডিও রয়েছে। একটি ভিডিও এবং বেশ কয়েকটি ছবিতে এক যুবককে বালির ব্যাগের পাশে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। আরেক ব্যক্তিকে একটি ভবনের দেয়ালের সাথে ঢলে পড়ে থাকতে দেখা যায়। তার পা মাটিতে ছড়ানো ছিল,আহত হওয়ার পরও তখনও তিনি বেঁচে ছিলেন বলে মনে হয়েছে। এতে আরও দেখা যায় পুলিশ সদস্যরা বুলেটপ্রুভ ভেস্ট, হেলমেট ও আগ্নেয়াস্ত্রে সজ্জিত অবস্থায় আহত ব্যক্তিদের পাশে অবস্থান করছেন। 
সহিংসতা এড়ানো গেল না কেন। ছাত্র-জনতা যখন প্রধান সড়কে বিজয় মিছিল করছিল তখন স্থানীয় এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুল ইসলাম সকাল থেকে অস্ত্র গুলি দলীয় ক্যাডার নিয়ে বিক্ষোভকারীদের দমন করার চেষ্টা করেন। তারা মানুষকে গুলি না করলে এলাকা এমন রণক্ষেত্রে পরিনত হতো না। আগের দিন ৪ আগস্টও নিতে একই কায়দায় তান্ডব চালান পুলিশের সাথে এক হয়ে। এদিকে বিজয়ের খবরের পর পরই তিনি পালিয়ে যান।বিক্ষুব্ধ ছাত্র- জনতা তার মালিকানাধীন পাশের একটি মার্কেট ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। জনরোষ তখন এমপিকে খুঁজতে থাকেন। তিনি থানায় লুকিয়ে আছেন বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। একারণে জনরোষ থানা ঘেরাও করে ও ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে। তখন পুলিশ বৃষ্টির মতো গুলি ছঁড়ে থানা থেকে নিরাপদ বের হতে থাকে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের গণমাধ্যমে ভাষ্য, বিকেলে উত্তেজিত ছাত্র- জনতা আশুলিয়া থানা ঘেরাও করে। এ সময় আশপাশে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা দৌড়ে থানা ভবনে ঢুকে গেট বন্ধ করে দেয়। বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে আন্দোলনকারীরা চারদিক থেকে থানা ঘিরে ফেলে ও ইট- পাটকেল ছুড়তে থাকে। কেউ কেউ গেট ভাঙতে এগিয়ে যান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ায় থানার ওসি পুলিশ সদস্যদের অস্ত্র রেডি করতে বলেন। এতে আন্দোলনকারীরা আরও চড়াও হয়। ওই সময় থানা ভবন থেকে বেরিয়ে এসে ৩০-৩৫ জন পুলিশ সদস্য থানার গেটে অবস্থান নেন। উত্তেজিত জনতা ' ভুয়া ভুয়া' শ্লোগান দিতে থাকে। এক পর্যায়ে ওসি পুলিশ সদস্যদের অস্ত্র হাতে নিয়ে রেডি হতে বলেন। জবাবে আন্দোলনকারীরা পুলিশকে আত্মসমর্পণ করতে বলে। তখন ওসি বলেন, আমরা হেরেছি, আপনারা জিতেছেন। আমাদের মাফ করে দেন, সবাই বাড়ি ফিরে যান। এর এক পর্যায়ে এসআই মালেক, ডিবির ওসি তদন্ত আরাফাত, এসআই আফজালুল, এসআই জলিল ছাত্র- জনতাকে উদ্দেশ্য করে গুলি ছোড়ে। গুলিতে থানার গলিতে কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়ে রাস্তায় পড়ে যান। মুহুমুহু গুলিতে আন্দোলনকারীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়।
আরেক প্রত্যক্ষদর্শীর ভাষ্য, পুলিশ থানা থেকে মেইন রোডে এসে ডান-বাম দু' পাশেই গুলি চালায়। এক মিনিটের জন্যও পুলিশ গুলি বন্ধ করেনি। যতক্ষণ হেঁটেছে ততক্ষণই গুলি ছুড়েছে। রাস্তার দু' পাশে পথচারী, বাসাবাড়ি ও দোকানপাটের শত শত মানুষ সেদিন গুলিবিদ্ধ হয়। এমন দিন কখনও দেখেনি বাইপালবাসী।
আরেক প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ননা, এমপি সাইফুল সকাল ১০ টা থেকে সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী নিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ এলাকা থেকে শুরু করে বাইপালে বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা চালায়। দুপুর একটার পর বিক্ষোভকারীদের ওপর নির্বিচার গুলি চলে। মিনিটে মিনিটে মানুষ একের পর এক রাস্তায় ঢলে পড়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছে, একটি ড্রোন উড়িয়ে আন্দোলনরত ছাত্র- জনতার অবস্থান শনাক্ত করা হয়। কার ড্রোন ব্যবহার করলো পুলিশ। অথবা কে ড্রোন ব্যবহার করে পুলিশকে সহায়তা করলো। পরে অবশ্য সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। 
এদিকে জনরোষ পরে ওই দিনই থানার কাছে ওভারব্রীজ এলাকায় দুই পুলিশ সদস্যের লাশ ঝুলিয়ে রাখে ও আরেক পুলিশের লাশ পুড়িয়ে দেয়।
ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক রিয়াজ উদ্দিনের দাবী তারা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাফির নির্দেশ পালন করছেন। কেন তিনি সব জেনে শুনেও এতো হিংস্র হলেন। তিনি গ্রেফতার হয়েছেন। পুলিশের তদন্ত কমিটি বলেছে আরও দুই পুলিশ কর্মকর্তা  চিহ্নিত হয়েছেন। আরেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোবাশ্বিরা জাহান এখনও গ্রেফতার হন নি। ওই পুলিশ সদস্যরা এখনও থানায় আছেন। জনগনও প্রতিশোধের ভয় করেন। আতংক, ভয় এখনও কাটে নি। তদন্তের পর গনবদলী প্রয়োজন। 
পুলিশের তদন্ত পুলিশ করছে। ঘটনার ভয়াবহতাতো বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবী রাখে। অথবা যৌথ টাস্কফোর্স গঠন করে এমন ঘটনাগুলোর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রয়োজন। তারপর মামলা। না হলে দায়সারা গোছের লামসাম তদন্ত হবে। মামলা হবে গুটি কয়েকজনকে আসামি করে। বাকি অপরাধীরা পার পেয়ে যাবে। 
পরিচিতিঃ সাংবাদিক ও কলাম লেখক।













সর্বশেষ সংবাদ
পেনশন পেতে হয়রানি
সময় গেলে সাধন হবে না
যথাযোগ্য মর্যাদায় কুমিল্লা মুক্ত দিবস পালিত
চান্দিনায় পরীক্ষা হলে হঠাৎ অসুস্থ ১৫ ছাত্রী; ক্ষোভে শিক্ষক পেটালেন অভিভাবকরা
নির্জন বিলে পড়েছিলো দুই যুবকের মরদেহ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
বিভাগ না দিয়ে কুমিল্লাবাসীর প্রতি জুলুম করা হয়েছে
নিবেদিতা স্কুল: আলোর নিচে অন্ধকার
লালমাইয়ে দাফনের ৪ মাস পর থেকে লাশ উত্তোলন
বুড়িচং উপজেলা বিএনপির সভাপতি মিজানুর রহমানের সঙ্গে ৯ ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীদের প্রতিনিধি সম্মেলন
চান্দিনায় মোটরসাইকেল চুরিকালে চোর আটক
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২