প্রবাসী কর্মীদের প্রেরিত রেমিট্যান্স ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২১.৬১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। গত ১৪ বছরে প্রবাসী আয় দ্বিগুণ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এ তথ্য জানান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রবাসী কর্মীদের প্রেরিত রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতিকে স্বাবলম্বী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের ১৭৬টি দেশে ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সময়ে ১০ লাখ ৮৫ হাজার ১১৭ জন নারী কর্মীসহ মোট ৯৭ লাখ ৭ হাজার ২৫০ জন কর্মীর বৈদেশিক কর্মসংস্থান হয়েছে। ২০০৯-১০ অর্থবছরে প্রবাসী আয়ের পরিমাণ ছিল ১০.৯৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা ২০২২-২৩ অর্থবছরে দ্বিগুণ হয়ে ২১.৬১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
মাহমুদ আলী বলেন, বিশ্ব শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষতা উন্নয়ন লক্ষ্যে কারিগরি প্রশিক্ষণের পাশাপাশি বৈদেশিক ভাষা শিক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। ২০০৯ থেকে ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত সময়ে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহের মাধ্যমে মোট ১৩ লাখ ৭০ হাজার ৭০ জনকে দক্ষতা উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। ৪৩টি টিটিসির মাধ্যমে জাপানি, ইংরেজি, কোরিয়ান ও চাইনিজ ভাষাসহ বিভিন্ন ধরনের বিদেশি ভাষার প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ১০৪টি টিটিসির পাশাপাশি আরও ৫০টি টিটিসি স্থাপনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়াও ‘দেশে- বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ প্রদান’ শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে ৫ বছরে মোট ১ লাখ ২ হাজার ৪০০ জনকে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ প্রদানের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বিদেশ ফেরত কর্মীদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদানের জন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের অনুকূলে সরকার ৫০০ কোটি টাকার বরাদ্দ প্রদান করেছে। মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত ১২ হাজার ৮৯ জন ঋণগ্রহীতাকে ২৯৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ঋণ প্রদান করা হয়েছে। ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মাধ্যমে প্রবাস ফেরত আহত ও অসুস্থ কর্মীর চিকিৎসার্থে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট ২ হাজার ৮৫ জনকে ১৯ কোটি ৬২ লাখ ৪০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে এবং বৈধভাবে বিদেশ গমণকারী মৃত কর্মীর পরিবারকে ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৪৩৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে।