মহান
বিজয় দিবস উপলক্ষে কুমিল্লা মহানগর জামায়াতের উদ্যোগে যুব র্যালী
অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় কুমিল্লা টাউন হল মাঠ থেকে র্যালীটি
শুরু হয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় ঈদগাহে
গিয়ে শেষ হয়।
র্যালী পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও কুমিল্লা মহানগরী আমীর কাজী
দ্বীন মোহাম্মদ।
মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি মু. মাহবুবুর রহমানের
সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও মহানগর
জামায়াতের নায়েবে আমীর মু. মোছলেহ উদ্দিন, সহকারী সেক্রেটারি
কামারুজ্জামান সোহেল ও নাছির আহম্মেদ মোল্লা, কর্মপরিষদ সদস্য মিজানুর
রহমান এবং যুব ও ক্রীড়া বিভাগের সভাপতি কাজী নজির আহম্মেদসহ অন্যান্য
নেতৃবৃন্দ।নানান আয়োজনে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় কুমিল্লায় মহান বিজয় দিবস
উদযাপন
নিজস্ব প্রতিবেদক: বীরশহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও বিনম্র
ভালোবাসায় নানান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কুমিল্লায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান
বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে কুমিল্লা
টাউন হল প্রাঙ্গণে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়।
সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে মহান
মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী বীরশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা
প্রশাসক মু. রেজা হাসান ও কুমিল্লা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতৃবৃন্দ।
এরপর
পুলিশ সুপার মো. আনিসুজ্জামান পিপিএম (সেবা)-এর নেতৃত্বে জেলা পুলিশের
একটি দল শহীদবেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। এছাড়া কুমিল্লা মহানগর বিএনপির
সভাপতি উৎবাদুল বারি আবু ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান
মাহমুদ ওয়াছিমের নেতৃত্বে জেলা ও মহানগর বিএনপি এবং তাদের অঙ্গ ও সহযোগী
সংগঠনগুলো শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
কুমিল্লা প্রেসক্লাব, কুমিল্লা শিক্ষা
বোর্ড, নগরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহও
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে বীরশহীদদের প্রতি সম্মান জানায়।
দিবসটি
উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৮টায় কুমিল্লা স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে
প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। এতে নগরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের
শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে।
এছাড়া মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও
বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক
প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, শিশু চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা এবং আলোচনা
সভাসহ নানা কর্মসূচি আয়োজন করা হয়।
