
গোল,
হাতাহাতি, লাল কার্ড-কী ছিল না রেড গ্রিন ফিউচার স্টার ও আর্জেন্টিনার
বুয়েনস এইরেসভিত্তিক ক্লাব আতলেতিকো চার্লোনের মধ্যকার ম্যাচে! শুরুতেই
এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। পরে ঘুরে দাঁড়িয়ে ড্র করে মাঠ ছাড়ে অতিথিরা।
জাতীয়
স্টেডিয়ামে সোমবার লাতিন-বাংলা সুপার কাপের ম্যাচটি ১-১ ড্র হয়েছে।
নিজেদের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে মাসুদ রানার গোলে এগিয়ে যায় রেড গ্রিন।
দ্বিতীয়ার্ধে আতলেতিকো চার্লোনকে সমতায় ফেরান আলিয়ান সামিয়েন্তো।
অনূর্ধ্ব-২০
দলের এই প্রতিযোগিতায় প্রথম ম্যাচে ব্রাজিলের তৃতীয় স্তরের দল সাও
বার্নার্দোর বিপক্ষে ৪-০ গোলে হেরেছিলেন মাসুদ-রিফাতরা।
ওই হারের হতাশা
সামলে এদিন আশা জাগানিয়া শুরু পায় রেড গ্রিন। চতুর্থ মিনিটে অফসাইডের ফাঁদ
ভেঙে বেরিয়ে দারুণ শটে দলকে এগিয়ে নেন মাসুদ।
২১তম মিনিটে বাম দিকে
দিয়ে সতীর্থের থ্রু পাস ধরে একক প্রচেষ্টায় আক্রমণে ওঠেন মোহাম্মদ মানিক,
গায়ের সাথে সেঁটে থাকা ডিফেন্ডারকে গতিতে পেছনে ফেলে বক্সে ঢুকে নিখুঁত শটে
গোলরক্ষকের পাশ দিয়ে জাল খুঁজে নেন তিনি। ব্যবধান দ্বিগুণ করার আনন্দে
মানিক যখন গ্যালারির কাছে গিয়ে উদযাপনে ব্যস্ত, তখনই ওঠে অফসাইডের পতাকা।
দ্বিতীয়ার্ধের
শুরুতে সামিয়েন্তোর দৃষ্টিনন্দন গোলে সমতায় ফেরে চার্লোন। ডান দিক থেকে
এই ফরোয়ার্ডের শট তার এক সতীর্থের পায়ের ফাঁক দিয়ে কাছের পোস্ট দিয়ে জালে
জড়ায়। তার পেছনে থাকা রেড গ্রিনের ডিফেন্ডাররা হতবাক হয়ে যান।
৬০তম মিনিটে বক্সে দেখে শুনে জায়গা করে নিয়ে দুর্বল শটে গোলকিপারের হাতে বল তুলে দেন মোহাম্মদ আরিফ।
আগেও
কয়েকবার একটু-আধটু হাতাহাতি হয়েছে দুই পক্ষের মধ্যে, ৭৬তম মিনিটে তা বড়
আকার ধারণ করে। ওই ঘটনায় চার্লোনের দেভিদ বেভজিনি ও মাতিয়াস রোসালেস এবং
বাংলাদেশের ইশান হাবিব রেদোয়ানকে লাল কার্ড দেখান রেফারি।
এরপর খেলা
পুনরায় শুরু হলে রেড গ্রিন চেপে ধরে প্রতিপক্ষকে, কিন্তু আক্রমণভাগের কেউ
কার্যকর হতে পারেননি। ৮৭তম মিনিটে মাসুদের দূরপাল্লার ফ্রি কিক বাতাসে ভেসে
পোস্টে ঢুকতে বসেছিল। অনেকটা লাফিয়ে ওঠা গোলকিপারের গ্লাভস ছুঁয়ে পোস্টে
লেগে বল যায় বাইরে। সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট হওয়ার হতাশায় পোড়ে রেড গ্রিন।
যোগ
করা সময়ে গোললাইনে সেভ করে দলকে সমতায় রাখেন মাসুদ। পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে এসে
বল গ্লাভসে জমাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন গোলকিপার আলিফ রহমান ইমতিয়াজ।
প্রতিপক্ষের হেড পাল্টা হেডেই ক্লিয়ার করেন মাসুদ।
