রণবীর ঘোষ কিংকর।
কুমিল্লার
চান্দিনাকে অবৈধ ড্রেজার মুক্ত করতে অভিযানে নেমেছে প্রশাসন। উপজেলা
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়সাল আল নুর পৃথক দুইটি ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান
চালিয়ে ১৬টি ড্রেজার মেশিন ও প্রায় ৪০ হাজার ফুট পাই ধ্বংস করেন। এতে
আতংকিত হয়ে পড়েছে ড্রেজার ব্যবসায়ীরা।
জানা যায়- উপজেলা জুড়ে অন্তত
অর্ধশত ড্রেজার মেশিনে অবৈধ ভাবে মাটি উত্তোলন হয়। সম্প্রতি উপজেলার
সুহিলপুর ইউনিয়নের পিপুইয়া গ্রামে সরকারি রাস্তা কেটে পুকুর ভরাট চলছিল।
ওইসব ঘটনা উল্লেখ করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রশাসন মাঝে
মধ্যে অভিযান পরিচালনা করলেও গত দুই দিনের অভিযান কঠোর ছিল বলে মনে করেন
সচেতন মহল।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে পিপুইয়া
গ্রামে পুকুর ভরাট কাজে ব্যবহৃত ড্রেজারসহ উজিরপুর, বড়ইয়া কৃষ্ণপুর এলাকা
থেকে মোট ৬টি ড্রেজার ও ২০ হাজার ফুট পাইপ ধ্বংস করা হয়। ১ ডিসেম্বর
(সোমবার) উপজেলার সুহিলপুর ও মাধাইয়া ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে ১০টি ড্রেজার
মেশিন ও অন্তত ২০ হাজার ফুট পাইট ধ্বংস করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
স্থানীয়রা
জানান- উপজেলার সবচেয়ে বেশি ড্রেজার চলে শুহিলপুর, বাতাঘাসী ও মাধাইয়া
ইউনিয়নে। ফসলি মাঠ থেকে অবৈধ ভাবে ড্রেজিং করে ড্রেজার মালিক ও মাটি
ব্যবসায়ীরা রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হলেও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে আশপাশের
জমির মালিক ও কৃষকরা। তাদের ভয়ে এলাকার সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করার সাহসও
পায় না। গত দুই দিনের অভিযানে ড্রেজার ব্যবসায়ীদের মাঝে কিছুটা হলেও ভীতি
তৈরি হবে।
শুহিলপুর ইউনিয়নের বশিকপুর গ্রামের ড্রেজার ব্যবসায়ী লিটন
জানান- আগে এমন অভিযান হয়নি। একটি মেশিনের দাম ৬০-৭০ হাজার টাকা, একটি ২০
ফুট পাইপের দাম কমপক্ষে ৩ হাজার টাকা। এভাবে ধ্বংস করলে ব্যবসায়ীরা কি
পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্থ হয় তা ধারণা করা যায় না। অভিযানের ভয়ে এবং শুষ্ক
মৌসুমের কারণে এখন অনেক ড্রেজার মালিক তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছে।
ভ্রাম্যমাণ
আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়সাল আল
নুর বলেন, ফসলি জমি ধ্বংস করে অবৈধ ড্রেজিং করার সুযোগ আর থাকবে না। যারা
পালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা কঠোর অবস্থানে আছি এবং এ
ধরনের অভিযানে ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।
