চলতি অর্থবছরের শেষ চার মাসে রপ্তানি আয়ে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখল দেশের অর্থনীতি।
সবশেষ নভেম্বরে রপ্তানি আয় ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ কমে যাওয়ার তথ্য দিয়েছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।
দেশের
সার্বিক রপ্তানি চিত্রের হালনাগাদ তথ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার সংস্থাটি বলছে,
গত নভেম্বরে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ। ২০২৪ সালের
নভেম্বরে রপ্তানি আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
আগের মাসের হিসাবে অবশ্য রপ্তানি আয় ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ বেড়েছে। গেল অক্টোবরে রপ্তানি হয় ৩৮২ কোটি ৩৮ লাখ ডলারের পণ্য।
টানা চার মাস কমলেও ৫ মাসের হিসাবে রপ্তানি আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় সামান্য বেড়েছে।
চলতি
অর্থবছরের ৫ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) রপ্তানি থেকে আসে ২ হাজার ২ কোটি ৮৫ লাখ
ডলার। এটি আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় শূন্য দশমিক ৬২ শতাংশ বেশি।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের ৫ মাসে রপ্তানি আয় ছিল ১ হাজার ৯৯০ কোটি ৬০ হাজার ডলার।
ইপিবির
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “এক মাসের ব্যবধানে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা
বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের মধ্যে স্থিতিশীলতা এবং অভিযোজনযোগ্যতার ইঙ্গিত
দেয়।’’
রপ্তানি আয়ের অন্যতম উৎস তৈরি পোশাক খাত থেকে নভেম্বরে এসেছে ৩১৪
কোটি ৯ হাজার ডলার। আগের বছরের নভেম্বরে এ খাতে আয় ছিল ৩৩০ কোটি ৬১ লাখ
ডলার।
সেই হিসাবে এ খাতেও রপ্তানি আয় ৫ শতাংশের মতো কমেছে।
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ধরা করা হয় ৬৩ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার।
অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশের রপ্তানি আয় বাড়ে ২৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ। কিন্তু পরের মাস থেকে সেই ইতিবাচক ধারা আর টেকেনি।
অগাস্টে রপ্তানি আয় কমে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশ, সেপ্টেম্বরে ৪ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং অক্টোবরে রপ্তানি আয় কমে ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
সবশেষ অর্থবছরে রপ্তানি আয় ছিল ৪ হাজার ৮২৮ কোটি ডলার, যা আগের অর্থবছরের ৩৮১ কোটি ডলারের চেয়ে ৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ বেশি।
