কুমিল্লা
নগরীকে যানজটমুক্ত এবং সাধারণ মানুষের নির্বিঘ্ন চলাচল নিশ্চিত করতে গতকাল
সোমবার (১ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টায় নগরীর পুলিশ লাইন এলাকা থেকে বাদুতলা
পর্যন্তযৌথ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী
ম্যাজিস্ট্রেট নওরোজ নওশেদ দীপ্ত। এ অভিযানে অবৈধভাবে ফুটপাত দখল করে গড়ে
ওঠা স্থাপনা এবং রাস্তার ওপর করা অবৈধ পার্কিং উচ্ছেদ করা হয়েছে।
কুমিল্লা
জেলা প্রশাসক ও সিটি কর্পোরেশনের যৌথ উদ্যোগে এই উচ্ছেদ অভিযানটি শুরু হয়
নগরীর পুলিশ লাইন এলাকা থেকে, এরপর অভিযানটি ঝাউতলা,বাদুরতলা হয়ে ধর্মসাগর
এলাকায় কার্যক্রম পরিচালনা করে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে বাদুরতলায়
অভিযানটি শেষ করেন।
অভিযানে অবৈধভাবে রাস্তা দখল করে রাখা মিশুক
(সিএনজি/অটোরিকশা) এবং ফুটপাত দখল করে ব্যবসা চালানো বিভিন্ন অস্থায়ী
দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়।
অভিযান চলাকালীন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নওরোজ
নওশেদ দীপ্ত কুমিল্লার কাগজকে জানান, নগরীতে অবৈধভাবে ফুটপাত দখল করে
ব্যবসা পরিচালনা এবং রাস্তার ওপর মিশুক সহ বিভিন্ন যানবাহন পার্কিংয়ের
কারণে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। এতে সাধারণ মানুষের চলাচলের পথ রুদ্ধ হয়ে যায়
এবং মূল্যবান সময় নষ্ট হয়।
তিনি বলেন, "অবৈধভাবে ফুটপাত দখল করে ব্যবসা
ও মিশুক রাখার ফলে নগরীতে যানজট হয় এবং মানুষজন চলাচলের মতো অবস্থা থাকে
না। রাস্তাঘাটে অনেক ধরনের জ্যাম হয়। এই জ্যামটা যেন না হয়, এই জ্যামটা যেন
আমরা কমাতে পারি, এজন্য আমাদের এই অভিযান পরিচালনা।"
নির্বাহী
ম্যাজিস্ট্রেট দীপ্ত আরও বলেন, "আমাদের এই অভিযানের মূল লক্ষ্য হলো
কুমিল্লার সাধারণ মানুষ যেন নির্বিঘ্নে চলাফেরা করতে পারে এবং ট্রাফিকের
কারণে যেন মানুষের মূল্যবান সময় নষ্ট না হয়।"
অভিযানের পর তাৎক্ষণিকভাবে
পুলিশ লাইন থেকে ধর্মসাগর পর্যন্ত এলাকায় যানজট কিছুটা কমে আসে এবং যান
চলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে এই পদক্ষেপ যেন স্থায়ী হয়, সে বিষয়ে জোর দেন
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
উচ্ছেদকৃত ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্য করে নির্বাহী
ম্যাজিস্ট্রেট নওরোজ নওশেদ দীপ্ত বলেন, "আমরা আজকের জন্যশুধু সতর্ক করে
দিচ্ছি। এরপরেও যদি কেউ আবারও ফুটপাত বা রাস্তা দখল করার চেষ্টা করে, তবে
পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।"
জেলা
প্রশাসন ও সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক ও
ফুটপাত দখলমুক্ত রাখতে ভবিষ্যতে এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
