নিজস্ব
প্রতিবেদক: কুমিল্লার লাকসামে রেললাইনের পাশ থেকে মইন উদ্দিন অন্তর নামে
এক যুবকের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় সন্দেহভাজন ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
ছিনতাইকৃত মোবাইলের ভাগবাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের
ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে র্যাব। খুন হওয়া অন্তর এবং গ্রেপ্তার হওয়া ৯ জন
একটি গ্রুপের সাথে যুক্ত হয়ে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলো বলে
র্যাবের প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসে।
র্যাব কুমিল্লার কোম্পানী কমান্ডার
মেজরসাদমান ইবনে আলম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এ
ঘটনায় গ্রেপ্তার জনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে লাকসাম রেলওয়ে
থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে ওই বার্তায় জানানো হয়।
নিহত মইন উদ্দিন
অন্তর (১৮) লাকসাম উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর (পশ্চিমপাড়া)
গ্রামের নুরুন্নবীর ছেলে। সে লাকসাম থানাধীন গন্ডামারা এতিমখানা নামক
স্থানে ভাঙ্গারির দোকানে কাজ করতো।গত ২৫নভেম্বরগন্ডামারা এলাকার জবাইখানা
সংলগ্ন ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইনের পাশ থেকেতার মরদেহ উদ্ধার করে লাকসাম
রেলওয়ে পুলিশ। এ ঘটনায় অন্তরের মা বাদী হয়ে লাকসাম রেলওয়ে থানায় একটি হত্যা
মামলা দায়ের করেন।
র্যাব কমান্ডার মেজরসাদমান ইবনে আলম জানান, আলোচিত
এই খুনের ঘটনার সাথে জড়িত আসামিদের সনাক্ত করে গ্রেফতারের লক্ষে র্যাব
গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।এরই প্রেক্ষিতে গোয়েন্দা নজরদারী, তথ্য
প্রযুক্তির সহায়তা ও প্রাপ্ত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনার পর থেকে
ধারাবাহিক অভিযানে র্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন
এলাকা থেকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে লাকসাম উপজেলার গন্ডামারা এলাকার
রবিউল হোসেন কামাল (৩২), দক্ষিণ নরপাটি এলাকায় ইসমাইল খান (২৫), উত্তর
কাদরা গ্রামের মিলন হোসেন ওরফে ছোট মিলন (১৫) এবং এমআই হাসানসহ ৯ জনকে
গ্রেপ্তার হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে ৬টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের
কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব জানায়, মইন উদ্দিন অন্তর
লাকসামের গন্ডামারা এতিমখানা নামক স্থানে ভাঙ্গারির দোকানে কাজ করতো। একই
সাথে সে ওই এলাকায় বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকা ছেলেদের সাথে চলাফেরা করত এবং
চুরি ছিনতাই ও মাদক ব্যবসায় জড়িত ছিল।বিশেষ করে চুরি, ছিনতাই ও মাদক
ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রমই তাদের নেশা ও পেশা।নিহত অন্তরের
সাথে গ্রেপ্তারকৃতদের চুরি ছিনতাইকৃত চোরাই মালের ভাগ বন্টন ও মদক
সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধের সৃষ্টি হয়। সেই বিরোধকে কেন্দ্র করে ঘটনার দিন
ভিকটিম ও আসামীদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাকে হত্যা করে লাশ গুম
করার জন্য লাকসাম গন্ডামার জবাইখানা সংলগ্ন রেল লাইনের পাশে লাশ ফেলে দেয়।
