কুমিল্লার
দেবিদ্বারে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। “দেশীয় জাত,
আধুনিক প্রযুক্তি প্রাণিসম্পদে হবে উন্নতি” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে
বুধবার সকালে রেয়াজ উদ্দিন মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দিনব্যাপী এ
প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
মেলার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি দেবিদ্বার
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাকিবুল ইসলাম। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি
বিভিন্ন স্টলে প্রদর্শিত পশু-পাখি, উন্নত জাতের ঘাস ও আধুনিক প্রযুক্তির
সরঞ্জাম সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজ-খবর নেন।
দেবিদ্বার উপজেলা
প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো.নাজমুল হোসেন’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায়
প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ইউএনও মো. রাকিবুল ইসলাম।
বক্তব্যে তিনি
বলেন,‘বাংলাদেশের টেকসই অর্থনৈতিক অগ্রগতি, দারিদ্র্য বিমোচন ও
আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টিতে প্রাণিসম্পদ খাত এক অনন্য ভূমিকা পালন করছে।
প্রাণিসম্পদ খাত আজ দেশের একটি অন্যতম প্রধান উন্নয়নমুখী খাত হিসেবে
প্রতিষ্ঠিত। “বর্তমান সরকারও এ খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। দেশীয়
জাতের সংরক্ষণ, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, রোগ প্রতিরোধে সচেতনতা এবং
প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এই খাতকে আরও সমৃদ্ধ করা সম্ভব। এ ধরনের প্রদর্শনী
মেলা কৃষক ও খামারিদের শেখার সুযোগ করে দেয়, যা তাদের আর্থিকভাবে
স্বাবলম্বী হতে সহায়তা করে। তাই সবাইকে নিয়মিত প্রশিক্ষণ গ্রহণ, সঠিক
পদ্ধতিতে পশুপালন ও বাজার ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা বাড়াতে হবে। তরুণ সমাজকে
উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে প্রাণিসম্পদ খাত একটি বড় সম্ভাবনার ক্ষেত্র।
আমরা চাই দেবিদ্বারের প্রতিটি খামার আধুনিক পদ্ধতিতে পরিচালিত হোক এবং
এখানকার কৃষকরা দেশব্যাপী দৃষ্টান্ত স্থাপন করুক।”
সভায় বিশেষ অতিথি
হিসেবে বক্তব্য রাখেন দেবিদ্বার উপজেলার পৌর প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার
(ভূমি) মো. ফয়সল উদ্দিন, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সুব্রত গোস্বামী।
এসময়
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দেবিদ্বার প্রাণিসম্পদ অফিসের
এফএ/এআই(কৃত্রমি প্রজনন) মো. আতিকুর রহমান, এল ডি ডি পি প্রকল্পের এল এফ এ,
মো. জায়দেুল করিম, এল এস পি মো. সাইফুল ইসলাম ও ঘাস চাষ প্রকল্পের সি ইএ
মো. জহিরুল ইসলামসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পশু খামারীবৃন্দ।
দেবিদ্বার
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নাজমুল হোসেন বলেন, প্রাণিসম্পদ
দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের যৌথ উদ্যোগে এবং প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন
প্রকল্প (এলডিডিপি)-এর সহযোগিতায় এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। তবে স্থানীয় কৃষক,
খামারি ও প্রাণিপালন সংশ্লিষ্টদের আধুনিক জ্ঞান ও প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত
করানোই ছিল এ মেলার মূল লক্ষ্য। এই প্রদর্শনী মেলায় মোট ৩০টি স্টল অংশ
গ্রহণ করেছে। এসব স্টলে দেশীয় ও বিদেশি বিভিন্ন জাতের গরু, ছাগল, ভেড়া,
হাঁস-মুরগি, বিভিন্ন প্রজাতির কবুতর, খরগোশসহ নানা ধরনের পাখি ও উন্নত
জাতের ঘাস প্রদর্শন করা হয়। মেলায় বিভিন্ন জাতের প্রাণি, পাখি ও উন্নত
জাতের ঘাস প্রদর্শনী চারটি ক্যাটাগরীতে ১০ জনকে পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।
