জনস্বাস্থ্য
ও পরিবেশ রক্ষায় শিল্পে ব্যবহৃত রং, অ্যালুমিনিয়ামের বাসনপত্র ও শিশুদের
খেলনায় সিসার উপস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হালনাগাদ বাংলাদেশ মান (বিডিএস)
বাস্তবায়নে এবং কঠোর আইন প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
মঙ্গলবার
(২৫ নভেম্বর) বিএসটিআইয়ে অনুষ্ঠিত ‘সিসার বিষক্রিয়া প্রতিরোধ এবং শিল্পে
ব্যবহৃত রং, রান্নার বাসনপত্র ও খেলনার মানদণ্ড হালনাগাদকর’ বিষয়ক এক
উচ্চপর্যায়ের নীতি নির্ধারণী সংলাপে বক্তারা এ আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ
স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই), ইউনিসেফ ও
এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অরগানাইজেশনের (এসডো) যৌথভাবে
আয়োজিত পলিসি সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সচিব এবং এসডোর
চেয়ারপারসন সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএসটিআইর মহাপরিচালক
এস এম ফেরদৌস আলম। সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন বিএসটিআই মান উইং এর পরিচালক
সাইদুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ বলেন, সিসা
একটি নীরব ঘাতক যা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে, বিশেষ করে শিশুদের মেধা ও
স্নায়ুতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। এটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সরকার এরই
মধ্যে এটা কমাতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। আমাদের সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় এ
ক্ষতিকর ধাতব উপাদান থেকে রক্ষা পেতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ডেকোরেটিভ
রঙের ক্ষেত্রে আমরা সফলতা পেয়েছি, কিন্তু শিল্প ক্ষেত্রে ব্যবহৃত রঙ ও
নিত্যব্যবহার্য পণ্য যেমন বাসনপত্র ও খেলনায় সিসার ব্যবহার বন্ধে এখনই কঠোর
পদক্ষেপ নিতে হবে। আজকের এই নীতি সংলাপ সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে এক ছাতার
নিচে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বিএসটিআই-এর মহাপরিচালক এস এম
ফেরদৌস আলম বলেন, বিএসটিআই এরই মধ্যে ডেকোরেটিভ পেইন্টে সিসার মাত্রা ৯০
পিপিএম নির্ধারণ করে দক্ষিণ এশিয়ায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। শিল্প, মেরিন
এবং অটোমোবাইল পেইন্টের বাংলাদেশ মান (বিডিএস) প্রণয়ন করা হচ্ছে। আজকের
আলোচনার সুপারিশমালা আমাদের বাংলাদেশ মান হালনাগাদ ও তা বাস্তবায়নে সহায়ক
হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন বিভাগের প্রফেসর সৈয়দ
সামসুদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন জাহাঙ্গীরনগর
বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক আরজু মিয়া। এছাড়াও নিপসন,
আইসিডিডিআরবি, এশিয়ান পেইন্টস, বার্জার পেইন্টস, পেইন্টস অ্যাসোসিয়েশনের
প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নেন।
