নিজস্ব প্রতিবেদক।।
অনলাইনে
চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে লিংকে ক্লিক করানোর মাধ্যমে মোবাইল হ্যাক করে
অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে তা ছড়িয়ে দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক
চক্রের মূল হোতা মো. আব্বাসকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) রাতে ভোলার তজিমুদ্দিন উপজেলার গোলকপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত অনলাইন প্রতারক আব্বাস ভোলার তজিমুদ্দিন উপজেলার দক্ষিণ আড়ালিয়া গ্রামের মৃত আবুল কালামের ছেলে।
শনিবার
(২২ নভেম্বর) বিকেলে কুমিল্লা র্যাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য
জানান র্যাব ১১ সিপিসি ২ এর কোম্পানি অধিনায়ক মেজর সাদমান ইবনে আলম।
সংবাদ
সম্মেলনে মেজর সাদমান বলেন, গত ৫ নভেম্বর প্রতারণার ফাঁদে পা দেওয়া
কুমিল্লার দেবিদ্বার এলাকার একজন ভুক্তভোগি নারী র্যাব-১১, সিপিসি-২
কুমিল্লা ক্যাম্পে উপস্থিত হয়ে অজ্ঞাতনামা বিবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন,
প্রতারকরা ভিকটিমের টিকটক আইডিতে নক করে তার সঙ্গে যোগাযোগ করে অনলাইনে
চাকরির প্রলোভন দেখান। একপর্যায়ে রেজিস্ট্রেশনের কথা বলে ভিকটিমের তথ্য ও
কিছু ছবি নেয়। পরে সেসব ছবি এডিট করে নগ্ন ছবি ও ভিডিও তৈরি করে ভিকটিমকে
দেখিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে বিকাশ, নগদ ও রকেট
এ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে ৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।
পরবর্তীতে
আরও টাকার দাবিতে প্রতারক আব্বাস ভিকটিমের ফেসবুক আইডি হ্যাক করে ফেসবুকের
প্রোফাইল পিকচারে তার নগ্ন ছবি আপলোড করে এবং নগ্ন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ
মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনার সাথে জড়িত মূল আসামীদের
গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে ও গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি
করে।গোয়েন্দা নজরদারী, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা ও প্রাপ্ত গোপন সংবাদের
ভিত্তিতে গত শুক্রবার রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি আভিযানিক দল ভোলা
জেলার তজুমদ্দিন থানাধীন গোলকপুর এলাকা হতে উক্ত প্রতারণার ঘটনায় জড়িত মূল
হোতা মো. আব্বাসকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্ততারকালে প্রতারক আব্বাসের
প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ২ টি মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মেজর সাদমান আরও বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে গ্রেপ্তারকৃত আব্বাসকে দেবিদ্বার থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
