কুমিল্লার
দেবিদ্বারে গত বছরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলন চলাকালে দশম শ্রেণির
শিক্ষার্থী মো. আবু বকরকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় দায়ের করা
মামলায় দেবিদ্বার পৌর স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা রাকিবুল ইসলাম রনিকে গ্রেপ্তার
করেছে পুলিশ।
সোমবার (১০ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে দেবিদ্বার পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের সাইলচর গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত
রাকিবুল ইসলাম রনি (৩৩) দেবিদ্বার পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের সাইলচর গ্রামের
মো.জুনাব আলীর ছেলে। তিনি পৌর স্বেচ্ছাসেবকলীগের ৭নং ওয়ার্ডের সভাপতি।
থানা
সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৪ আগস্ট দেবিদ্বার সরকারি কলেজ রোডের
কালাচান্দ সুপার মার্কেটের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়
ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতাকর্মীরা শিক্ষার্থী আবু বকরকে কুপিয়ে ও
পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। ওই ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় আবু বকরকে উদ্ধার
করে প্রথমে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে কুমিল্লা মেডিকেল
কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর তার অবস্থা অবনতি হলে তাকে ঢাকার
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস প্রায় চার মাস চিকিৎসা শেষে বাড়ি
নিয়ে আসে। বর্তমানে সে নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ওই ঘটনায় পরদিন আবু
বকরের বাবা মো. আবুল খায়ের কুমিল্লা আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায়
কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদ, তার
ছোট ভাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো.মামুনুর রশিদসহ ৭৩ জনকে আসামি করা
হয়। মামলার তদন্ত চলাকালে একাধিক অভিযুক্তের নাম ভিডিও ও সাক্ষ্য প্রমাণে
উঠে আসে। তাদের মধ্যে অন্যতম রাকিবুল ইসলাম রনি।
দেবিদ্বার থানার অফিসার
ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ইয়াছিন কালের কণ্ঠকে বলেন, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে
রাতে অভিযান চালিয়ে রাকিবুল ইসলাম রনিকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা
হয়। তিনি গত বছরের ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থী
আবু বকরকে হত্যার চেষ্টার মামলার অন্যতম আসামি। অনুসন্ধানে প্রাপ্ত ভিডিও
ফুটেজ ও স্থিরচিত্রে তার সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে।” তিনি আরও জানান,
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত থাকার কথা স্বীকার
করেছেন বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার সকালে রনিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে
পাঠানো হবে।
