কুমিল্লার
বুড়িচংয়ে আলোচিত কলেজছাত্র তুহিন হত্যা মামলার ১৬ দিন অতিক্রম হলেও এখনো
প্রধান আসামি সাইফুল ইসলাম বাবুকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
। এ হত্যাকাণ্ডের পর অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে কুমিল্লা
প্রেস ক্লাব,জেলা প্রশাসক কার্যালয়, জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়,উপজেলা
প্রশাসনের কার্যালয় ও থানা সামনে একাধিকবার বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন
করেছে উপজেলার বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী এবং এলাকাবাসীরা ।
জানা
গেছে, পূর্ববিরোধের জেরে অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে তুহিনকে হত্যার হুমকি
দিয়ে আসছিল। গত ২০ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টার দিকে পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের
শ্রীপুর গ্রামের কামাল মিয়ার বাড়ির সামনে থেকে তুহিনকে জোরপূর্বক একটি
গাড়িতে তুলে নেয় তারা। পরে প্রধান অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম বাবুর গোবিন্দপুর
গ্রামের বাড়ির পাশের একটি ভবনে নিয়ে লোহার রড ও এসএস পাইপ দিয়ে এলোপাতাড়ি
পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। এতে তুহিনের দুই হাত-পা ভেঙে যায় এবং শরীরের
বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হন।
অভিযুক্তরা তুহিনের মোবাইল ফোন
ছিনিয়ে নেয় এবং পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি দেয়। স্থানীয়রা গুরুতর
আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে
এবং পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে
সেদিন রাতেই তুহিনকে ঢাকার আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া
হয়, যেখানে তিনি সাত দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর ২৭ অক্টোবর দুপুরে মারা
যান।
নিহত তুহিন কুমিল্লা বুড়িচং এরশাদ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।
এ ঘটনায় তুহিনের মা ফেরদৌসী আক্তার বাদী হয়ে সাইফুল ইসলাম বাবুকে প্রধান
আসামি করে তার ছেলে নাফিজ উদ্দিন, জহির, আবদুল আলিমসহ ৭-৮ জনের নাম উল্লেখ
করে বুড়িচং থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক জানান, ইতোমধ্যে আসামি শফিউল আলম মানিক ও জামাল
হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রধান আসামিসহ অন্যান্য পলাতক আসামিদের
গ্রেপ্তারে পুলিশ ও ডিবি’র যৌথ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
