স্টাফ রিপোর্টার : কুমিল্লার
লাকসাম উপজেলার কোটইশা গ্রামের ইতালি প্রবাসী রাফছান মেহেদী (মেহেদী হাসান)
কে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি উপজেলার বাকই
দক্ষিণ ইউনিয়নের অশ্বদিয়া গ্রামে ঘটেছে।
জানা গেছে, লাকসাম উপজেলার
বাকই দক্ষিণ ইউনিয়নের কোটইশা গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল আউয়ালের
ছেলে রাফছান মেহেদী দীর্ঘদিন ইতালিতে বসবাস করেন। গত ৫ আগষ্ট সরকারের
পরিবর্তনের পর পুরনো একটি ঘটনা সাজিয়ে আদালতে অশ্বদিয়া গ্রামের তৈয়ব আলী
বাদী হয়ে ৩৯ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা
যায় , বিবাদীগণ তাকে মারধর, ঘরবাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও আর্থিক ক্ষতির
শিকার করেছেন। বাদী দাবি করেছেন, একদল লোক দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা
পর্যন্ত তার বাড়িতে হামলা চালায়, মারধর করে, ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয় এবং প্রায়
বিশ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করে। এছাড়া বাদীর মাছের পুকুর থেকে প্রায় একশত
পঞ্চাশ মন মাছ ধরে নিয়ে যায়। বাদী স্থানীয় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত
থাকায় আওয়ামী লীগ-সমর্থিত একটি গ্রুপ তাকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালিয়েছে
বলে অভিযোগ করেছেন।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার ৩৬ নম্বর আসামি ইতালি
প্রবাসী রাফছান মেহেদী জানান, ঘটনার সময় আমি ছিলাম না। একটি মহল উদ্দেশ্য
প্রণোদিত হয়ে আমার সম্মান নষ্ট করতে হয়রানি করতে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। তিনি
বলেন দেশে ফিরে আসলে তার জীবনের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা
করছেন। ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জোর দাবি জানান
তিনি।
মানবাধিকার কর্মী মো: সাহাবউদ্দীন বলেন, রেমিট্যান্স যোদ্ধা
প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। তাদের বিরুদ্ধে
হয়রানিমূলক মামলা বা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা দেশের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ণ করতে
পারে। প্রবাসীদের নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব।
