আসন্ন
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ)
আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির শিল্প বিষয়ক
সম্পাদক ও লাকসাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম দিনব্যাপী সাংগঠনিক
পথসভার কর্মসূচী শুরু করেছেন।
বুধবার (৫ নভেম্বর) সকাল ১০টায় ধানের
শীষের মনোনীত প্রার্থী আবুল কালামের বাবার কবর জিয়ারতের মাধ্যমে
আনুষ্ঠানিকভাবে এ কর্মসূচীর সূচনা করেন তিনি। পরে নিজ গ্রাম পাশাপুর থেকে
শুরু করে লাকসাম উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে পথসভা ও গণসংযোগ পরিচালনা করেন।
সকাল
থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দুইটি উপজেলার ১৯ টি ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ বাজার ও
জনবহুল এলাকায় একের পর এক পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য
স্থানগুলো হলো- পাশাপুর, মুদাফরগঞ্জ, নৈড়পার, লাকসাম জংশন, দৌলতগঞ্জ, খিলা,
নাথেরপেটুয়া, বিপুলাসার, লক্ষণপুর, সরসপুর, বাইশগাঁও, হাসনাবাদ, উত্তর ঝলম
ও মুদাফরগঞ্জ দক্ষিণ মাওলানা সাহেব বাজার।
প্রতিটি পথসভায় বিএনপি ও
অঙ্গসংগঠনের স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত থেকে স্লোগান দেন- ভোট দিলে ধানের
শীষে, দেশ গড়বো মিলেমিশে। জনগণের উচ্ছ্বাসমুখর উপস্থিতিতে এলাকাজুড়ে
উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
পথসভাগুলোতে বক্তব্য রাখেন মোঃ আবুল
কালাম। তিনি বলেন, “বিএনপি জনগণের দল। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের
ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নেমেছি। আসন্ন নির্বাচনে
ধানের শীষের পক্ষে সবার সহযোগিতা কামনা করছি।
তিনি আরও বলেন, আমি
আপনাদের সন্তান। দলের ভেতরে প্রতিযোগিতা থাকবেই, কিন্তু আমরা সবাই দেশনায়ক
তারেক রহমানের নির্দেশনা মেনে একসঙ্গে ধানের শীষে ভোট দেব। আমার ওপর রাগ
থাকতে পারে, কিন্তু দল বা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রতীকের ওপর
রাগ দেখাবেন না।
আপনারা দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে নিপীড়ন ও নির্যাতনের শিকার
হয়েছেন। দেশনায়ক তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে এবং দেশ বিরোধী সকল
ষড়যন্ত্র রুখে দিতে আমাদের ধানের শীষে ভোট দিন। জনগণ আজ পরিবর্তন চায়, আমরা
সেই পরিবর্তনের স্বপ্ন নিয়েই মাঠে নেমেছি।
দিনের কর্মসূচীর অংশ হিসেবে
বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে তিনি সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম কর্নেল (অব.) আনোয়ারুল
আজিমের কবর জিয়ারত করেন এবং আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
দিনব্যাপী এই সাংগঠনিক কর্মসূচীর মাধ্যমে মোঃ আবুল কালাম লাকসাম জুড়ে নির্বাচনী গণসংযোগের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেন।
শেষ বিকেলে মাওলানা সাহেবের বাজারে অনুষ্ঠিত পথসভায় বিএনপি নেতা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
অঞ্চলজুড়ে তার এই সাংগঠনিক তৎপরতাকে বিএনপি নেতাকর্মীরা আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই দেখছেন।
