কুমিল্লার রামমালা গ্রন্থাগারসহ দেশের প্রাচীন লাইব্রেরীগুলোকে ডিজিটালাইজেশন করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে কুমিল্লার কান্দিরপাড়ের ঈশ্বর পাঠশালা মহেশাঙ্গনে রামমালা গ্রন্থাগার পরিদর্শনে এসে এ কথা জানান।
তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, কথিত আছে রামমালা পাঠাগার বাংলাদেশের তৃতীয় অথবা চতুর্থ পান্ডুলিপি পুঁথি সংরক্ষণাগার। এটি বাংলাদেশের প্রাচীন ঐতিহ্যের অংশ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের পর সবচেয়ে বেশি প্রাচীন পুঁথি পান্ডুলিপি সংগ্রহীত আছে কুমিল্লার মহেশাঙ্গনের শতবর্ষী রামমালা গ্রন্থাগারের। এসে দেখলাম এখানে অনেক পুঁথি-পত্রই নষ্ট হওয়ার মতো অবস্থা। এখানে যেসব তাল পাতার পুঁথিসহ অন্যান্য প্রাচীন বই পত্র আছে সেগুলোকে ডিজিটালাইজেশন করে সংরক্ষণ করা এখন সময়ের দাবি। ডিজিটালাইজেশন হয়ে গেলে এই পুঁথির একটি কপি আমাদের কাছে সংগ্রহীত থাকবে। এ ব্যাপারে আমরা সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সাথে কথা বলব। পরবর্তীতে যদি সম্ভব হয় তো আমরা তাহলে আমরা এটি আলাদা ভবনের সংরক্ষণ করা যায় কিনা সেটি চিন্তাভাবনা করব। আশা করছি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এটি স্ক্যান করে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করবে।
উপদেষ্টা বলেন, এইসব পাণ্ডুলিপি পুথি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং আন্তর্জাতিক মূল্য সম্পন্ন। তাই এগুলোকে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার সাথে সংরক্ষণ করার প্রয়োজনীয়তা ব্যাপক।
রামমালা গ্রন্থাগার সূত্রে জানা গেছে, এই গ্রন্থাগারে সাড়ে আট হাজারেরও বেশি পুঁথি পান্ডুলিপি ও বইপত্র সংরক্ষিত আছে। যা এই উপমহাদেশে একটি অন্যতম প্রাচীন সংগ্রহশালা হিসেবে বিবেচিত।
এসময় কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মোঃ আমিরুল কায়ছার, রামমালা গ্রন্থাগারের দায়িত্ব গ্রন্থাগারিক কমল চক্রবর্তীসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
