গত
অক্টোবরে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি সামান্য কমে ৮ দশমিক ১৭ শতাংশে
দাঁড়িয়েছে। এর আগের মাসে (সেপ্টেম্বর) এই হার ছিল ৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ। তবে
খাদ্যপণ্যের দাম কিছুটা কমলেও খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়েছে, যা
জনজীবনে অস্বস্তি বাড়াচ্ছে।
বুধবার (৫ নভেম্বর) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবিএসের
তথ্য অনুযায়ী, সার্বিক মূল্যস্ফীতি অক্টোবরে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ১৭ শতাংশে,
যা সেপ্টেম্বরে ছিল ৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ। মূলত খাদ্যপণ্যের দাম কিছুটা কমায়
সার্বিক মূল্যস্ফীতি নেমে এসেছে।
বিবিএস জানায়, খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি
অক্টোবরে হয়েছে ৭ দশমিক ০৮ শতাংশ, যা আগের মাসে (সেপ্টেম্বরে) ছিল ৭ দশমিক
৬৪ শতাংশ। অর্থাৎ খাদ্যপণ্যের বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।
অন্যদিকে
খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। এ খাতের মূল্যস্ফীতি সেপ্টেম্বরের ৮
দশমিক ৯৮ শতাংশ থেকে বেড়ে অক্টোবরে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ১৩ শতাংশে। পরিবহন,
চিকিৎসা ও সেবা খাতের মতো খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের ব্যয় বাড়ার কারণেই মূলত এই
মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিবিএস আরও জানায়, খাদ্যপণ্যের মূল্যে
সামান্য নিয়ন্ত্রণ আসায় সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি কমেছে। কিন্তু খাদ্যবহির্ভূত
পণ্য, যা দৈনন্দিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ (যেমন যাতায়াত, স্বাস্থ্যসেবা)
সেগুলোর দাম বাড়ায় সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় এখনো ঊর্ধ্বমুখী। এই
কারণে সাধারণ মানুষের ওপর চাপ এখনো বিদ্যমান।
