অবৈধ গ্যাস
সংযোগ বিচ্ছিন্ন কর্মসূচির আওতায় অক্টোবর মাসে ৭ হাজার ১৭০টি অবৈধ সংযোগ
বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে, পাশাপাশি জরিমানা করা হয়েছে ৫১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা।
বুধবার (৫ নভেম্বর) এক বার্তায় এ তথ্য জানায় পেট্রোবাংলা।
এতে
বলা হয়, অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। অবৈধ গ্যাস ব্যবহার
বন্ধে পেট্রোবাংলার অধীন ৬টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানি স্থানীয় প্রশাসনের
সহযোগিতায় নিয়মিত মোবাইল কোর্টসহ অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নকরনে অভিযান
পরিচালনা করছে। পেট্রোবাংলা থেকেও ভিজিলেন্স টিম গঠন করে অভিযান পরিচালনা
করা হচ্ছে। কোনো কারখানা বা বাড়িতে অবৈধ গ্যাস ব্যবহার পাওয়া গেলে গ্যাস
ব্যবহারকারীসহ কারখানা ও জমির মালিকের বিরুদ্ধে গ্যাস আইন, ২০১০ ও অন্যান্য
প্রচলিত আইন অনুযায়ী জরিমানা আদায় ও কারাদণ্ড প্রদান করা হচ্ছে।
অক্টোবর
মাসে পেট্রোবাংলার আওতাধীন ৬টি বিতরণ কোম্পানি (তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন
অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসি, বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি
লিমিটেড, জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম
লিমিটেড, পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড, কর্ণফুলী গ্যাস কোম্পানি
লিমিটেড ও সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড) কর্তৃক বিভিন্ন ধরনের মোট
৬৯৮টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মোট ৭ হাজার ১৭০টি
সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এর মধ্যে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে গৃহীত গ্যাস সংযোগ
বিচ্ছিন্নের সংখ্যা ৬ হাজার ৯১২টি। এ সব অভিযানের মাধ্যমে মোট প্রায় ১০
কিলোমিটার বিভিন্ন ধরনের অবৈধ পাইপলাইন উচ্ছেদ করা হয়েছে।
এ ছাড়া মোট
৫১টি মোবাইল কোর্ট কর্তৃক আরোপিত ৫১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা জরিমানা আদায়পূর্বক
সরকারি কোষাগারে জমা করা হয়েছে। অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহারের কারণে কারখানা
মালিকের বিরুদ্ধে ১০টি মামলা ও ২টি এফআইআর রুজ হয়েছে। অন্যদিকে, জমির
মালিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ২টি এবং অবৈধ সংযোগের সাথে জড়িত ব্যক্তির
নামে ২টি মামলা ও ১৫ জন ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া, মোবাইল কোর্টে ১
জন ব্যক্তিকে ৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, পেট্রোবাংলা অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন সংশ্লিষ্ট সব কার্যক্রমের তথ্যভাণ্ডারের সফটওয়্যার শীঘ্রই উদ্বোধন করা হবে।
