অবরোধের পর প্রথম
সাগরে গিয়েই কপাল খুলেছে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার একদল জেলের। এক টানে
জালে ১৪০ মণ ইলিশ ধরা পড়েছে; যা বিক্রি হয়েছে ৩১ লাখ টাকায়।
কুয়াকাটা সৈকত থেকে ৬০ কিলোমিটার গভীর সমুদ্রে এসব ইলিশ ধরা পড়ে বলে জানান এফবি সাফাওয়ান-৩ ট্রলারের মাঝি রুবেল।
একটি ট্রলারে জায়গায় সংকুলান না হওয়ায় একই কোম্পানির আরেকটি ট্রলার সাইফ-২ এ মাছ ভাগাভাগি করে সাগর থেকে ঘাটে নেওয়া হয়।
শুক্রবার
সকালে পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে সাইফ ফিশ আড়তে এসব মাছ
বিক্রির জন্য তোলা হয়। সেখানে ডাকের মাধ্যমে মাছগুলো ৩১ লাখ ৫০ হাজার টাকায়
বিক্রি হয়।
মাঝি রুবেল বলেন, বুধবার ১৯ জন জেলে নিয়ে সাগরে যাই। ওই দিন
বিকালে কুয়াকাটা থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে গভীর সমুদ্রে জাল ফেলার পরই রাতে
মাছগুলো ধরা পড়ে। রাত ৮টা থেকে জেলেরা জাল টানা শুরু করে পরদিন দুপুর দেড়টা
পর্যন্ত জাল ট্রলারে উঠানো শেষ হয়।
তবে জেলেদের দাবি, সব মিলিয়ে ১৭০ থেকে ১৭৫ মণ ইলিশ ধরা পড়েছে।
সাইফ
ফিশিং কোম্পানির ব্যবস্থাপক মনিরুল হক মাসুম বলেন, “অনেক দিন ধরে সাগরে
খুব একটা মাছ ধরা পড়ছিল না। ইলিশ মৌসুমে কাক্সিক্ষত মাছ ধরা না পড়ায় আমাদের
লোকসান গুণতে হচ্ছিল।
“তবে সাগরে অবৈধ ট্রলিং বোট বন্ধ করা হলে জেলেদের জালে আগের মতন মাছ ধরা পড়বে। ফিরে আসবে সাধারণ জেলেদের সুদিন।”
পাথরঘাটা
মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবসায়ী ও আড়তদার মোস্তফা আলম বলেন, ইলিশের
প্রকারভেদ ২৭ হাজার, ২২ হাজার, ১২ হাজার টাকা মণ দরে সব মিলিয়ে ৩১ লাখ ৫০
হাজার টাকা বিক্রি হয়েছে।
বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম
মোস্তফা চৌধুরী বলেন, “২২ দিনের অবরোধ শেষে জেলেরা সাগরে গিয়েই মাছ
পেয়েছে, এটা খুশির খবর। তবে দীর্ঘদিন ধরে কাক্সিক্ষত ইলিশের দেখা মিলছে না।
হঠাৎ এক ট্রলারে ১৪০ মণ ইলিশ পাওয়ায় আমরাও খুশি।”
