স্টাফ
রিপোর্টার: এক যুবলীগ নেতায় কিশোরকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখা চুরির অভিযোগ
দিয়ে সারা দিন শারীরিক নির্যাতন করার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার
২৯ অক্টোবর কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের বিনন্দিয়ার চর
গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে ও পুলিশ জানায় উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়ন যুবলীগের
নেতা মোঃ মনির হোসেন (৪০) বুধবার ২৮ অক্টোবর আবু সাঈদ (১৫) এক কিশোরকে মনির
হোসেন চুরির অভিযোগ দিয়ে তাকে সকালে বাড়ীর গাছের সঙ্গে বেঁধে শারীরিক
নির্যাতন সারাদিন। নির্যাতনের শিকার কিশোর স্থানীয়শাহ দৌলতপুর গ্রামের মৃত
নাজির ইসলামের ছেলে। আর যুবলীগ নেতা মনির হোসেন বিনন্দিয়ারচর গ্রামের
সুলতান আহমেদের ছেলে।
স্থানীয়রা আরও জানান কিশোর আবু সাঈদের বিরুদ্ধে
চুরির অভিযোগ এনে সারাদিন নির্যাতন করেন এবং তাকে সকাল থেকে সন্ধ্যা
পর্যন্ত একটি গাছের সাথে বেঁধে রাখে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক
লোকজন জানান, মনির হোসেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আখলাক
হায়দারের কর্মী। গত ১৬ বছর ধরে এরা ময়নামতি ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের উপর
অত্যাচার-নির্যাতন করেছে। এখনো অত্যাচার-নির্যাতন করছে।
নির্যাতনের
শিকার আবু সাঈদের মা মোসাম্মৎ সেলিনা বলেন, “তার ছেলেকে কাজের কথা বলে মনির
হোসেন বাসায় নিয়ে যায়। আমার ছেলে কাজের টাকা চাওয়ায় তাকে চোর বলে অপবাদ
দেয়। তিনি অভিযোগ করে বলেন আমরা যখন ছেলেকে উদ্ধার করতে যাই, তখন আমাদেরকে
বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দেয়।”
তিনি আরও বলেন, “এ সময় মৃত সুলতান মৃধার
ছেলে মো. মনির হোসেন ও তার দলবল নিয়ে আমার ছেলেকে আমাদের হাতে তুলে দেওয়ার
জন্য ৯০ হাজার টাকা দাবি করে। আমি একজন স্বামীহারা মানুষ। আমার পক্ষে এই
টাকা দেওয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়। আমি প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছি।”
কেন নির্যাতন করা হয়েছে এই বিষয়ে জানতে যুবলীগ নেতা মনির হোসেনকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
বুড়িচং
থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আজিজুল হক বলেন, আমরা খবর পেয়ে পুলিশ
পাটিয়ে নির্যাতিত কিশোর কে উদ্ধার এবং যুবলীগের নেতা মনির হোসেন কে আটক করে
নিয়ে আসি। কিশোর আবু সাঈদ মনির হোসেন এর গরুর ফার্মে চাকুরী করত। ফার্মের
মালিক মনির হোসনের ৯০ হাজার টাকা চুরি হয়েছিল তাই তাকে সন্দ করে গাছের
সঙ্গে বেঁধে রেখেছিল। এঘটনায় বৃহস্পতিবার ৩০ অক্টোবর সকালে বুড়িচং থানায়
একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
