স্টাফ
রিপোর্টার।। এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক)
আগামী (৩০ নভেম্বরের) মধ্যে নিয়মিত গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি গঠনে
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা পরিপত্রের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন
হাইকোর্ট। ফলে একই পরিপত্রের মাধ্যমে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং
বডি ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে শুধু সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য সংরক্ষণ
এবং চলতি বছর ১ ডিসেম্বরের মধ্যে সব এডহক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণার
কার্যকারিতাও স্থগিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। পরিপত্র চ্যালেঞ্জের
এক রিটে প্রাথমিক শুনানির পর বুধবার (২২ অক্টোবর) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও
বিচারপতি আসিফ হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন। পরিপত্রটি কেন
অসাংবিধানিক ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। এর
ব্যাখ্যা চেয়েছেন মহামান্য আদালত। রিটকারি কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার
কৃতি সন্তান, কোম্পানীগঞ্জ বদিউল আলম ডিগ্রি কলেজের সাবেক ভিপি এডভোকেট
মোঃ মোকছেদুর রহমান আবির, এই রিটের প্রধান আইনজীবী ছিলেন বিএনপির যুগ্ম
মহাসচিব, সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশন এর সভাপতি এ. এম মাহবুব উদ্দিন খোকন,
সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী
ব্যারিস্টার রুহুল কাইয়ুম এবং এডভোকেট মহিউদ্দিন লোবান। তার সঙ্গে ছিলেন
আইনজীবী এস.এম জাহাঙ্গীর আলম। পরে আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন সাংবাদিকদের
বলেন, বেসরকারি স্কুল-কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শুধু সরকারি
কর্মকর্তাদের মনোয়নের যে বিধান করা হয়েছিল, এটা বৈষম্যমূলক। এ কারণে আদালত
প্রজ্ঞাপনটির কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন। নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ
মাধ্যমিক শিক্ষাস্তরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও
ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধানমালা ২০২৪ সংশোধন করে গত (৩১ আগস্ট) পরিপত্র জারি
করে অন্তর্র্বতী সরকার। এই পরিপত্রে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা
পর্ষদের সভাপতি হিসেবে শুধু সরকারি কর্মকর্তা (নবম গ্রেডের নিচে নয়) বা
অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (পঞ্চম গ্রেডের নিচে নয়) জন্য সংরক্ষণ থাকবে বলে
উল্লেখ করা হয়। এই পরিপত্রের আলোকে আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সব
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়মিত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে
আরো বলা হয়, সব এডহক কমিটি চলতি বছরের ১ ডিসেম্বর বিলুপ্ত হবে। পরে এই
পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী মোকছেদুর রহমান আবির।
