
ঢাকা
থেকে ব্যাংকক, সফরের লক্ষ্য নিয়ে পিটার জেমস বাটলারের কথাগুলো অনেকটা
একইরকম শোনাল। থাইল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম প্রীতি ম্যাচ সামনে রেখে ফলের
চেয়ে ইতিবাচক দিকগুলোর দিকে দৃষ্টি দেওয়ার কথাই বললেন বাংলাদেশ জাতীয় নারী
ফুটবল দলের কোচ। এই সফরকে তিনি নতুনদের জন্য দেখছেন উন্নতির পথে এগিয়ে
যাওয়ার আরেকটি ধাপ হিসেবেও।
থনবুরি বিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল ট্রেনিং
সেন্টারে শুক্রবার থাইল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বেলা ৪টায়।
এ উপলক্ষে রোম সাই ফুটবল
গ্রাউন্ডে বৃহস্পতিবার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সেরেছে মেয়েরা। গত জুলাইয়ে
উইমেন’স এশিয়ান কাপের বাছাই উতরানোর ইতিহাস গড়ার পর এই ম্যাচ দিয়ে মাঠে
ফিরতে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল।
সবশেষ পাঁচ ম্যাচে অপরাজিত আছে
আফঈদা-মনিকারা; জয় তিনটি, ড্র দুটি। এই সময়ে ইন্দোনেশিয়া, জর্ডান,
মিয়ানমারের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে আলো ছড়িয়েছেন ঋতুপর্ণা-স্বপ্নারা।
ফিফা
র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের (১০৪তম) চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে থাইল্যান্ড (৫৩তম)।
২০১৩ সালে সবশেষ দেখায় তাদের বিপক্ষে বাংলাদেশের হয়েছিল ভীষণ তিক্ত
অভিজ্ঞতা, ৯-০ গোলের হার!
বাটলার যেন তাই থাইল্যান্ড সফরকে হার-জিতের
পাল্লায় মাপতে চান না। আগামী মার্চে এশিয়ান কাপের মূল লড়াইয়ের আগে ঠিকঠাক
দল গুছিয়ে নিতে এই ম্যাচগুলোকে কাজে লাগাতে চান ইংলিশ কোচ।
“থাইল্যান্ডের
বিপক্ষে খেলা কঠিন হবে, তবে আমি এই সফর নিয়ে খুশি। কারণ এটি আমাদের তরুণ
খেলোয়াড়দের উন্নয়নের যাত্রাপথে আরেকটি ধাপ। আমরা দুটি ম্যাচে আমাদের সেরাটা
দেব এবং অর্জিত ইতিবাচক দিকগুলো নিব।”
বাফুফে ভবনে সারা বছর ক্যাম্প
চললেও প্রস্তুতির জন্য খুব মানসম্পন্ন পরিবেশ ও সুযোগ-সুবিধা মেলে না
মনিকা-মারিয়াদের। বাফুফে ভবনেই থাকা, ভবনের সামনের জিমনেশিয়ামে ঘাম ঝরানো
আর অনুশীলনের জন্য কখনও বুয়েটের মাঠ, কখনও কমলাপুর স্টেডিয়াম বা জাতীয়
স্টেডিয়ামে ছোটাছুটি করতে হয় তাদের।
থাইল্যান্ড সফরে যাওয়ার আগে মেয়েরা
অবশ্য সপ্তাহ তিনেকের প্রস্তুতি নিয়েছে চট্টগ্রামে কোরিয়ান ইপিজেডে।
ব্যাংককে মেয়েদের প্রস্তুতির সুযোগ-সুবিধা দেখে মুগ্ধ বাটলার। নারী ফুটবলের
উন্নয়নে মাঠের ভেতরে-বাইরেও তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে বলে মনে
করেন তিনি।
“থাইল্যান্ড খুবই ভালো টেকনিক্যাল দল, খুবই মানসম্পন্ন এবং
চমৎকার প্রশিক্ষণের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। তারা কেবল তাদের সিনিয়র দলেই নয়,
তাদের মহিলা ফুটবলেও বিনিয়োগের কারণে তারা এই অবস্থানে রয়েছে। তাদের মহিলা
ফুটবল প্রোগ্রামের উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমরা তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে
পারি।”
