৭০
দশকে বৃহত্তর কুমিল্লার তুখোড় ছাত্র নেতা পরবর্তীতে জন নেতা সৈয়দ আহমেদ
বাকের ২০০১ সালে ২২ শে অক্টোবর মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছেন। কুমিল্লার
রাজনীতি,শিক্ষা, সংস্কৃতি, খেলাধুলা সব ক্ষেত্রে যার বিচরণ ছিল। বহুমুখী
প্রতিভার এবং বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী ছিলেন সৈয়দ আহমেদ বাকের।
বীরমুক্তিযোদ্ধা ঊপাধ্যক্ষ সৈয়দ আহমেদ বাকের একজন প্রগতিশীল মুক্তচিন্তার
মানুষ ছিলেন। আজীবন একজন সৎ, মেধাবী, নীতিবান, অসাম্প্রদায়িক চেতনার মানুষ
ছিলেন।
১৯৭৩-৭৪ সালে তিনি ছাত্র ইউনিয়ন কুমিল্লা জেলা সভাপতি ছিলেন,
তার আগে ৬৯ ও ৭৩ সালে কুমিল্লা জেলা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, কেন্দ্রীয়
কমিটির সহসভাপতি ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে ছাত্র ছাত্রী সংসদে ভিপি পদে
নির্বাচন করেছিলেন। ১৯৮৯-৯৫ পর্যন্ত বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি কুমিল্লা
জেলা কমিটির সভাপতি ছিলেন।
ছাত্র ইউনিয়ন ও সিপিবি ও সমসাময়িক অন্যান্য
রাজনৈতিক দলের কাছে আদর্শ সংগঠক এবং একজন জননেতা ছিলেন। অনেক কিছু দেবার
ছিল, অল্পসময়ে চিরবিদায় নিয়েছেন। আমরা তার শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে শ্রদ্ধার
সাথে স্মরণ করছি। রাজনীতিতে ওনার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
২২ শে
অক্টোবর এই বিপ্লবী মানুষটির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে, সচেতন রাজনৈতিক
ফোরাম, কুমিল্লার উদ্যোগে এক স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়, যুব ইউনিয়ন
কার্যালয়ে, সন্ধ্যা ৭ টা অনুষ্ঠিত এ স্মরণ সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। সভায়
সভাপতিত্ব করেন ৮০ দশকের ছাত্র ও যুব নেতা, সফল সংগঠক বিএনপি নেতা, সচেতন
রাজনৈতিক ফোরাম এর প্রধান সমন্বয়ক ড. শাহ মো সেলিম, পরিচালনা করেন ছাত্র
ইউনিয়ন এর সাবেক সভাপতি বিপ্লব মজুমদার।
স্মরন সভায় ভার্চুয়ালী যোগ দেন
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন কুমিল্লা জেলা সাবেক সভাপতি, সচেতন রাজনৈতিক ফোরাম
এর সমন্বয়ক শেখ আবদুল মান্নান, বক্তব্য ন্যাপ এর সভাপতি বশির আহমেদ, উদীচী
কুমিল্লা জেলা সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি শামসুল আলম
মোহন,সাবেক জাসদ নেতা অধ্যাপক রূহুল আমিন বকুল, সাবেক ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি
জিয়াউল কবীর খোকন যুব ইউনিয়ন কুমিল্লা জেলা সভাপতি সুশান্ত বিশ্বাস, সাধারণ
সম্পাদক জোনায়েদ রায়হান, শিক্ষক নেতা শান্তি ভূষন দেবনাথ প্রমূখ।