কুমিল্লা
বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় খাবারের মধ্যে তেলাপোকা
পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে ক্যাফেটেরিয়ার খাবারে
তেলাপোকা পাওয়ার কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
শিক্ষার্থীরা জানান, এমন ঘটনা এক দিনের নয় বুধবারও (১৫ অক্টোবর) একই অভিযোগ
ওঠে। এর আগেও খাবারের মান নিয়ে শিক্ষার্থীরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
নৃবিজ্ঞান
বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মুরাদুল আদনান বলেন, “আজ সকালে
দুজন জুনিয়রকে নিয়ে খেতে গিয়েছিলাম। তারা দুজন তেহারি নিয়েছিল, সেখানে
তেলাপোকা পাওয়া যায়। আমরা বিষয়টি ক্যাফে ম্যানেজারকে জানাই, কিন্তু তিনি
প্রথমে দায় এড়িয়ে যেতে চান। পরে যখন বিষয়টি প্রশাসনের কাছে যায়, তখন
ম্যানেজার ক্ষমা চান।”
একই বিভাগের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম তাওহীদ
বলেন, “গতকাল সকালেও তিন প্লেট তেহারির একটিতে তেলাপোকা পাই। তখন ম্যানেজার
দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এমন আর হবে না। কিন্তু আজও একই ঘটনা ঘটেছে।”
ব্যবস্থাপনা
শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রাহিম বলেন, “ক্যাফের খাবারের মান
উন্নত করতে হবে, নাহয় বন্ধ করে দিতে হবে। শিক্ষার্থীরা নিজের পরিশ্রমের
টাকায় খেতে আসে, অপমানজনক আচরণ কেউ সহ্য করবে না। সেই মহিলাকে দ্রæত ক্যাফে
থেকে সরাতে হবে।”
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ক্যাফেটেরিয়ার ম্যানেজার
সুমা আহম্মেদ বলেন, "আসলে আমি এই মুহ‚র্তে কিছু বলতে পারছি না, আমাদের
কিচেন প্রতিদিনই গরম পানি এবং ডিটারজেন্ট দিয়ে পরিষ্কার করা হয়। আর কিচেনে
তেলাপোকা বা তেলাপোকার ডিম আমরা কখনও পাইনি। সকাল থেকে কারেন্ট না থাকার
কারণে সিসিটিভি ফুটেজ চেক করতে পারছি না। সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়ার পরেই
বিস্তারিত বলতে পারবো।"
এ বিষয়ে ছাত্র উপদেষ্টা ড. মো. আবদুল্লাহ আল
মাহবুব বলেন, “টানা দুই দিন খাবারে তেলাপোকা পাওয়া অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আমরা
আজই ক্যাফে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বসব এবং অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”
রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড.
আনোয়ার হোসেন বলেন, খাবারে তেলাপোকা পাওয়া খুবই অস্বাস্থ্যকর ঘটনা।
ক্যাফেটেরিয়া কমিটিকে বলেছি এটা ভালোভাবে খতিয়ে দেখতে। যদি এরকম কিছু হয়ে
থাকে তাহলে পানিশমেন্ট পাওয়া উচিত।