ইংলিশ
প্রিমিয়ার লিগ ক্লাব টটেনহ্যাম হটস্পার বিক্রি হবে। ক্লাবটিকে কেনার জন্য
বেশ কিছু ক্রেতাও প্রস্তুত। তবে টাকার অংক নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় কারো সাথে
এখনও কোনো চুক্তি ফাইনাল হয়নি। টটেনহ্যাম ক্লাবকে কেনার পরিকল্পনা নিয়েছিল
মার্কিন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ব্রুকলিন এরিকের নেতৃত্বাধীন কনসোর্টিয়াম।
এরিকের
কনসোর্টিয়াম প্রায় ৪.৫ বিলিয়ন পাউন্ড ম‚ল্যের (প্রায় ৭৪ হাজার কোটি টাকা)
একটি প্রস্তাব দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল বলে জানা গিয়েছিল। তবে গত ২৬
সেপ্টেম্বর ক্লাবের মালিকপক্ষ ইএনআইসি যা লুইস ফ্যামিলি ট্রাস্ট দ্বারা
পরিচালিত এই আগ্রহপত্রকে ‘স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান’ করেছে।
সোমবার লন্ডন
স্টক এক্সচেঞ্জে প্রকাশিত এক ঘোষণায় নিশ্চিত করা হয়েছে যে, এরিকের
কনসোর্টিয়াম এখন টটেনহ্যামের মালিকানা নিতে আর আগ্রহী নয়। এই সিদ্ধান্তকে
স্বাগত জানিয়েছে লুইস ফ্যামিলি ট্রাস্ট, যারা আবারও স্পার্সের সঙ্গে
দীর্ঘমেয়াদে থাকার প্রতিশ্রুতি প‚নরায় জানিয়েছে।
খবরটা আসে ঠিক তখনই, যখন এশিয়া-ভিত্তিক কনসোর্টিয়াম ফায়ারহক হোল্ডিংস লিমিটেড- ও ক্লাবটির প্রতি আগ্রহ না দেখানোর ঘোষণা দেয়।
লন্ডন
স্টক এক্সচেঞ্জে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, ‘টটেনহ্যাম হটস্পার লিমিটেডের
বোর্ড লক্ষ্য করেছে যে ফায়ারহক এবং মি. এরিকের কনসোর্টিয়াম ক্লাবের জন্য
প্রস্তাব দেওয়ার কোনো ইচ্ছা প্রকাশ করছে না। বোর্ড তাদের গঠনম‚লক আলোচনার
জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছে এবং লুইস পরিবারের অবস্থান ক্লাব বিক্রির নয় এটি
সম্মান করার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে।’
বিবৃতিতে আরও যোগ করা হয়, “দুই
কনসোর্টিয়ামের ঘোষণার পর ক্লাবটি এখন আর ‘সিটি কোড অন টেকওভারস অ্যান্ড
মার্জার্স’-এর অধীনে প্রস্তাবকালীন অবস্থায় নেই।”
এর আগে সেপ্টেম্বরে
ঘোষণা করা হয়েছিল যে, টটেনহ্যামের সংখ্যাগরিষ্ঠ মালিক ইএনআইসি ইতোমধ্যেই
দুটি আগ্রহপত্র ‘স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান’ করেছে একটি ছিল ড. রজার কেনেডি
এবং উইং-ফাই এনজি-র নেতৃত্বাধীন ফায়ারহক হোল্ডিংস- এর পক্ষ থেকে।
অ্যামান্ডা
স্টেভেলির পিসিপি ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স গত ৮ সেপ্টেম্বর ঘোষণা করেছিল
যে তারা টটেনহ্যামের জন্য কোনো প্রস্তাব দেবে না। এরপর ৩ অক্টোবর ফায়ারহকও
তাদের অবস্থান জানিয়ে দেয়।
এর ফলে এরিকের কনসোর্টিয়ামই ছিল ক্লাবটির প্রতি একমাত্র প্রকাশ্য আগ্রহী পক্ষ, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারাও সরে দাঁড়াল।
বর্তমানে
লুইস ফ্যামিলি ট্রাস্টের পরিচালিত ইএনআইসি টটেনহ্যামের প্রায় ৮৭ শতাংশ
মালিকানা ধরে রেখেছে। বাকি শেয়ারগুলো প্রকাশ্যে লেনদেনযোগ্য হওয়ায় ক্লাবটি
যুক্তরাজ্যের টেকওভার কোড-এর আওতায় পড়ে। ফলে যে কোনো প্রস্তাব বা আগ্রহ
প্রকাশের বিষয়টি প্রকাশ্যে জানাতে হয়। গত ৪ সেপ্টেম্বর ইএনআইসি চেয়ারম্যান
ড্যানিয়েল লেভি ২৪ বছর পর ক্লাবের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর
থেকে বিক্রির কথা উঠলে তিনটি আগ্রহপত্র পাওয়া গেলেও লুইস পরিবার দৃঢ়ভাবে
জানিয়ে দিয়েছে- ‘ক্লাব বিক্রির কোনো পরিকল্পনা নেই।’
লুইস পরিবারের এক
ঘনিষ্ঠ স‚ত্র পিএ নিউজ এজেন্সিকে জানিয়েছে, ‘এই অপ্রত্যাশিত আগ্রহ আমাদের
অঙ্গীকার পরিবর্তন করতে পারবে না। মাঠে সফলতা আনার জন্য যা করা দরকার, লুইস
পরিবার তা করে যাবে। ক্লাব বিক্রির জন্য নয়।’