প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৫, ১:১০ এএম আপডেট: ০৭.১০.২০২৫ ১:০১ পিএম |

কুমিল্লায়
আব্দুস সামাদ (৩৬) নামে একদলিল লেখককে আটকেরে ৫ ঘন্টা পর ছেড়ে দিয়েছে
পুলিশ। একটি সূত্র বলছে, পুলিশি হেফাজত থেকে সামাদকে ছাড়িয়ে নিয়েছেন জাতীয়
নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কুমিল্লা জেলা কমিটির কয়েকজন নেত। সোমবার (৬
অক্টোবর) দুপুরে কুমিল্লা কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ তাকে মহানগরীর দলিল
লেখক সমিতির কার্যালয় থেকে আটক করে। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে ছেড়ে দেওয়া হয়
তাকে।
আব্দুস সামাদ কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের
বারপাড়া কৃষ্ণপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি আব্দুল হক ও মনোয়ারা বেগমের পুত্র।
কুমিল্লা
কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহিনুল ইসলাম জানান,
আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটানোর অভিযোগে অজ্ঞাত একটি মামলায় আব্দুস সামাদকে আটক করা
হয়েছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সামাদ পূর্বে আওয়ামী লীগের রাজনীতির
সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং ৬নং জগন্নাথপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছেন।
বারপাড়ার এক বাসিন্দা
(নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানান, সামাদ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে
উঠাবসা করতেন। কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহারের ঘনিষ্ঠ মহলে
ঘুরে বেড়িয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করতেন।
তবে বর্তমানে তিনি এনসিপির
রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটির মুখ্য
সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন
স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গত ১৭ জুন তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে সদস্য পদ লাভ
করেন। বর্তমানে তিনি এনসিপির কুমিল্লা জেলা সমন্বয় কমিটির সদস্য।
অভিযোগের
বিষয়ে আব্দুস সামাদ বলেন, আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। আওয়ামী লীগের রাজনীতির
সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা ছিল না। আমি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদের সঙ্গে
একাত্ম হয়ে কাজ করেছি এবং বর্তমানে এনসিপির রাজনীতির সঙ্গে আছি।
এ বিষয়ে
কুমিল্লা জেলা এনসিপির যুগ্ম সমন্বয়ক ইব্রাহিম খালিদ হাসান বলেন,
পরিস্থিতির কারণে সামাদ পূর্বে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন, তবে
এখন আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন।