নিজস্ব
প্রতিবেদক।। ভাষা সৈনিক অজিত গুহ মহাবিদ্যালয়ে বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশন
বিএফএফ-সমকালের যৌথ উদ্যোগে ১১তম জাতীয় বিজ্ঞান বিতর্ক উৎসব কুমিল্লা জেলায়
উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। ‘বিতর্ক মানেই যুক্তি বিজ্ঞানে মুক্তি’
স্লোগানে শনিবার ( ২৭ সেপ্টম্বর) সকালে নগরীর ভাষা সৈনিক অজিত গুহ
মহাবিদ্যালয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। এ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় সহযোগী হিসেবে
ছিলেন শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক।
দৈনিক সমকালের কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি
মো. কামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে বিকালে সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে
প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার। বিশেষ অতিথি
ছিলেন ভাষা সৈনিক অজিত গুহ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মো. শরিফুল ইসলাম ও
কুমিল্লা আইডিয়াল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মো. মহিউদ্দিন লিটন। এর আগে
সকালে উদ্বোধনী ফিতা কেটে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ভাষা সৈনিক অজিত গুহ
মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মো. শরিফুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন দৈনিক জনকণ্ঠের
কুমিল্লা প্রতিনিধি মীর শাহ আলম।
প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে
কুমিল্লা কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজ। রানারআপ হয়েছে নবাব ফয়জুন্নেছা
সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় দল। শ্রেষ্ঠ বিতার্কিক নির্বাচিত হন রানারআপ
দলের দল নেতা তাসপিয়া আক্তার আলো। বিতর্কে অংশ নেওয়া অপর দলগুলো হচ্ছে,
কুমিল্লা জিলা স্কুল, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড সরকারি মডেল কলেজ, ইবনে
তাইমিয়া স্কুল কলেজ ও আওয়ার লেডী অব ফাতিমা গালর্স হাইস্কুল।
পুরস্কার
বিতরণ অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার বলেন, এ বিতর্ক
প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া প্রতিটি দলই ভাল করেছে। কোন দল চ্যাম্পিয়ন কিংবা
রানারআপ হয়েছে এটা বড় কথা নয়। আমার মতে সকলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আমরা প্রায়ই
দেখি আভিভাবকরা সন্তানদের জিপিএ-৫ নিয়েই বেশী ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল মেধা বিকাশে আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি। অথচ বিতর্ক
প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে এক অনন্য ভূমিকা রাখছে। সমকালের এ
উদ্যোগ সত্যই প্রশংসনীয়। সকল বিতার্কিকের জন্য রইলো শুভ কামনা।
বিশেষ
অতিথির বক্তব্যে ভাষা সৈনিক অজিত গুহ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মোঃ শরিফুল
ইসলাম বলেন, আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামীর বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে
মুখ্য ভূমিকা পালন করবে। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন বিতর্কের
মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মেধার বিকাশ ঘটে ও জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি পায়। তাই
প্রত্যেক শিক্ষার্থীর উচিত বিতর্কের মাধ্যমে নিজেদের সুপ্ত প্রতিভাকে
বিকশিত করা। কলেজ অধ্যক্ষ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকটি
দল,অভিভাবক, শিক্ষক ও সমকাল পত্রিকার সকলকে কলেজের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও
অভিনন্দন জানান।
অনুষ্ঠানে মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন অভিজিৎ রায়।
বিচারকের দায়িত্বে ছিলেন আরাফাত হোসেন সামী, মোফাজ্জল হোসেন মুজাহিদ ও
নাজমুস সাকিব। অনুষ্ঠানে দৈনিক সমকালের মুরাদনগর উপজেলা প্রতিনিধি বেলাল
উদ্দিন আহমেদ ও দেবিদ্বার উপজেলা প্রতিনিধি সৈয়দ খলিলুর রহমান বাবুল ও ফটো
সাংবাদিক এন.কে রিপনসহ অংশগ্রহণকারী বিদ্যালয়ের শিক্ষককরা উপস্থিত ছিলেন।