অক্টোবরের
শেষ দিকে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে আছে দুটি প্রীতি ম্যাচ। তবে বাংলাদেশ জাতীয়
নারী দলের ভাবনায় আগামী মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় এশিয়ান কাপ। সেই
ভাবনা মাথায় রেখে ‘বিশেষ প্রস্তুতি’ নিতে চট্টগ্রামে তাঁবু ফেলছে মেয়েরা।
ক্যাম্পের
জন্য ৪৩ জনকে বাছাই করেছেন জাতীয় নারী ফুটবল দলের কোচ পিটার জেমস বাটলার।
তবে এ মুহূর্তে দলের সবাইকে পাচ্ছেন না তিনি। ক্যাম্পে ডাক পাওয়াদের মধ্যে
১০ জন ভুটানে আছেন। চারজন অনূর্ধ্ব ১৭ দলের। ফলে ২৯ জনকে নিয়ে রোববার থেকে
শুরু হবে অনুশীলন।
২০ দিনের নিবিড় অনুশীলন শেষে ২৪ ও ২৭ অক্টোবর দুটি
প্রীতি ম্যাচ খেলতে থাইল্যান্ডে যাবে মেয়েরা। বাফুফের নারী উইংয়ের
চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ শনিবার সংবাদ সম্মেলনে জানালেন, নিরিবিলি
পরিবেশে মেয়েদের প্রস্তুতির সুযোগ করে দিতে চট্টগ্রামের কোরিয়ান ইপিজেডকে
বেছে নিয়েছেন তারা।
“আমরা মেয়েদের জন্য ২০ দিনের একটা এক্সক্লুসিভ
ক্যাম্পের ব্যবস্থা করেছি। চট্টগ্রামের কোরিয়ান ইপিজেডে। আজকে থেকে ১৬
অক্টোবর পর্যন্ত সেখানে থাকবে মেয়েরা। ১৭ তারিখ ঢাকায় ফিরবে। এরপর
থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ আছে।”
“নভেম্বর-ডিসেম্বরে একটা ত্রিদেশীয়
টুর্নামেন্ট খেলব। আজারবাইজান প্রস্তুত আছে, আরেকটা দল কে হবে, তা নিয়ে কথা
হচ্ছে। অনেকগুলো দলের সঙ্গে কথা হচ্ছে, যেহেতু এখনো অনেক সময় আছে, তাই
দেখা যাক, কাকে পাই।”
কিছুদিন জাপানে অনুশীলন করার ভাবনাও ছিল
বাংলাদেশের। কিন্তু অক্টোবরের ফিফা উইন্ডোতে জাপানের ব্যস্ততা থাকার কারণে
সেটি হচ্ছে না বলেও জানিয়েছেন কিরণ।
“আমরা জাপানে অনুশীলনের ব্যবস্থা
করছিলাম, কিন্তু ফিফা উইন্ডোর কারণে সেটি হচ্ছে না। ওই সময়ে আমরা দেশে
ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট খেলব। চেষ্টা করছি (সবকিছু করার), কিন্তু না পারলে
তো কিছু করার নেই। এশিয়া কাপে যারা জানতো কোয়ালিফাই করবে, তারা আগে থেকে,
এক বছর আগে থেকে সব পরিকল্পনা তৈরি করে এগিয়েছে। কিন্তু আমরা কোয়ালিফাই
করব, সেটা জানতাম না। যে কারণে সব কিছুতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের।”
ভুটান
লিগে খেলাদের মধ্যে ঋতুপর্ণা চাকমা, তহুরা খাতুন, মনিকা চাকমা, মারিয়া
মান্দা, শামসুন্নাহার সিনিয়র, শামসুন্নাহার জুনিয়র, শিউলি আজিম, নিলুফা
ইয়াসমিন নীলা, রূপনা চাকমা ও স্বপ্না রানী-এই ১০ জন ক্যাম্পে যোগ দিবেন
পরে।
সাবিনা খাতুন, মাসুরা পারভীন, কৃষ্ণা রানী সরকার, সানজিদা খাতুন,
মাতসুশিমা সুমাইয়ারা ডাক পাননি ক্যাম্পে। তবে তাদের সামনে সুযোগ আছে
নিজেদের সামর্থ্য নতুন করে প্রমাণের। তারা নাসরিন একাডেমির হয়ে আগামী
নভেম্বরে নেপালে অনুষ্ঠেয় উইমেন’স সাফ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপে খেলবেন। কিরণ
চাইছেন, ক্যাম্পে থাকা অন্যদেরও নাসরিনের হয়ে ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপে খেলার
সুযোগ করে দিতে।
“নাসরিনের খেলোয়াড়েরা তো তো খেলবেই (ক্লাব
চ্যাম্পিয়নশিপে)। এর বাইরে যে ৮ বা ১০ জন আছে, ওরাও যেন খেলতে পারে, সে
বিষয়ে আমি পিটারকে বলব। আমি চাইৃ নেপালে গিয়ে খেললে দেশের জন্য ভালো হবে।”