জামায়াতের
পিআর পদ্ধতি দাবি ও এনসিপির প্রতীক জটিলতা আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ
নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করছেন নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘বিদ্যমান আইনের আওতায় নির্বাচন কমিশন সমস্ত কাজ করে যাচ্ছে।
আইনের
ব্যতয় ঘটিয়ে নির্বাচন কমিশন কোনো কাজ করতে পারে না, করবে না। আইন যেভাবে
আছে, সে অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্বাচনী কার্যক্রমের প্রস্তুতি
নিচ্ছে। ’
জামায়াতে ইসলামীর পিআর পদ্ধতি দাবি এবং এনসিপির প্রতীক নিয়ে জটিলতার বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে এক কর্মশালায় এ কথা বলেন তিনি।
শুক্রবার
(২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে শহীদ সাটু হল মিলনায়তনে ‘নির্বাচন প্রক্রিয়ায়
ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে চ্যালেঞ্জসমূহ নিরূপণ ও উত্তরণের
উপায়’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন
নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য আমরা সদা প্রস্তুত আছি। ’
বিগত
নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগে অভিযুক্তদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যারা অতীতে
নির্বাচনে অবৈধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাদের আমরা নির্বাচনী
দায়িত্ব থেকে দূরে রাখব, তাদের নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করতে দেব না। ’
অনেক
পরাজিত দল নির্বাচন অনুষ্ঠানের পর নির্বাচনে স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন অথবা
ভোট কারচুপির অভিযোগ তোলেন-সেক্ষেত্রে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের কি
প্রস্তুতি রয়েছে জানতে চাইলে ইসি আনোয়ারুল বলেন, ‘নির্বাচন স্বচ্ছ হয়নি,
কোনো কোনো দল বলতে পারে, তবে এখন পর্যন্ত এ ধরনের পরিস্থিতি নির্বাচন
কমিশনের দৃষ্টিতে আসেনি। অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন আইন অনুযায়ী
ব্যবস্থা নেবে। ’
সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাঁধা ও ভোট
কারচুপি রোধে মাঠ পর্যায়ে কার্যকর মোবাইল টিম, মোবাইল কোর্ট, ইলেকট্রোনিক
ইনকোয়ারি ও পর্যবেক্ষক টিমসহ মোবাইল ফোনের অ্যাপসের মাধ্যমে মনিটর করার
ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও জানান ইসি।
রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশনার
আনিছুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব একেএম নেওয়াজ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা
প্রশাসক আব্দুস সামাদ, পুলিশ সুপার রেজাউল করিম, সিবিটিইপি প্রকল্প
পরিচালক মুহাম্মদ মোস্তফা হাসান।
মাঠ পর্যায়ে নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মরত ৭০ জন কর্মশালায় অংশ নেন।