
জাতীয়
দলের পাইপ লাইনে থাকা একাধিক ক্রিকেটের ঘরোয়া আসরগুলোতে ধারবাহিক পারফর্ম
করেন। তাতে অনেকেই সুযোগও পান লাল-সবুজের জার্সিতে খেলার। তবে ঘরোয়ার সেই
ফর্ম টেনে নিতে পারেন না আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে
সুযোগ দেওয়ার পর ব্যর্থ হয়েছেন।
ঘরোয়াতে ধারবাহিক হলেও জাতীয় দলে যাওয়ার
পরই কেন হারিয়ে যান এসব ক্রিকেটাররা? এমন প্রশ্নের জবাবে কোচ সোহেল বলেন,
‘একজন খেলোয়াড় যখন ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলে জাতীয় দলে সুযোগ পেতে চায়, তখন তার
গড় ভালো হওয়া প্রয়োজন। তাকে ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করতে হয়।'
'তবে
আমাদের দেশে এখনো পর্যন্ত... আমরা সাধারণত এক-দুটি ম্যাচ দেখেই খেলোয়াড়দের
সাফল্য বিচার করি। খেয়াল করে দেখবেন আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিকতা কম।
আমাদের যখন ধারাবাহিকতা বাড়বে এবং ঘরোয়াতে যদি প্রতিযোগিতা বাড়ে তখন
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও তারা...(ভালো করবে)।'
দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে একটা
কিংবা দুইটা সেঞ্চুরি করলেই জাতীয় দলের জন্য বিবেচনা না করে লম্বা সময়
বিবেচনা করে ক্রিকেটারদের সুযোগ দেওয়ার পক্ষে সোহেল। তিনি বলেন, 'আমার মনে
হয় এটার জন্য আমাদের সংস্কৃতি থাকাটাও গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেশে আমরা
কিভাবে একজন খেলোয়াড়কে মূল্যায়ন করি? আপনি যদি ভারতে দেখেন সেখান ঘরোয়া
ক্রিকেট খুবই প্রতিযোগিতামূলক—তাদের ওইখানে একটা একশ কিংবা দুইশ রানের
ইনিংস কোনো ব্যাপার না। আমাদের দেখা যায় একটা রান (সেঞ্চুরি) করলাম আমরা
খেলোয়াড়রাও মানসিকভাবে সন্তুষ্ট হয়ে যাই, কোচ কিংবা আপনারাও। ঘরোয়া
ক্রিকেটে কতটা ধারাবাহিকভাবে রান করছে সেটা আমাদের দেখতে হবে।’
‘বড় রান
করা, ব্যাক টু ব্যাক রান করা এগুলো কিন্তু অভ্যাসের ব্যাপার। এটা এমন না যে
এক টেস্টে আমি দুইটা একশ মেরেছি বলে পরের ইনিংসে আমি রান করতে পারব না।
এগুলো আমরা খেয়াল করিছি এবং সাথে সাথে এই বিষয়ে কথাও হচ্ছিল যে একটা ছেলে
যখন দুই ইনিংসে একশ মেরেছে তখন পরের টেস্টেও তার রান করা উচিত ছিল। কিন্তু
আমাদের দেশের এরকম উদাহরণ নেই। কিন্তু ভারতে এসব উদাহরণ আছে। আমরা ওইখান
থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করছি। আমাদের তাদেরকে ওইভাবে অনুশীলন করার চিন্তা
করছি।’
