প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই, ২০২৫, ৩:৫৩ পিএম আপডেট: ২৪.০৭.২০২৫ ৩:৫৮ পিএম |

মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ শিক্ষার্থী মো. মাহতাব রহমান ভূঁইয়া আর বেঁচে নেই। এ নিয়ে বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১২ জনের মৃত্যু হলো।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে মারা যায় একই স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র নাফি (৮)।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১ টা ৫০ মিনিটের দিকে তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাহতাবের জেঠা মো. মিজানুর রহমান ও ছোট মামা মো. রাকিবুল ইসলাম।
বুধবার রাতে মাহতাব চোখে খুলে নিজে নিজে নি:শ্বাস নিয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন তার বড় মামা মহিবুল হাসান শামীম। মাহতাব রহমান জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চতুর্থ তলার আইসিইউর (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) ১১ নং বেডে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার প্রায় ৭০শতাংশ পুড়ে গেছে। পরে তাকে লাইফ সার্পোটে রাখা হয়।
মামা মো. রাকিবুল ইসলাম বলেন, ভাগিনা কে আর বাঁচানো যায়নি, ২ টা ২০ মিনিটের দিকে তার মৃুত্যু হয়। আমি কাছাকাছি আছি খবর পেয়ে হাসপাতালে যাচ্ছি। আজ সন্ধ্যায় তার গ্রামের বাড়ি চুলাশে জানাজা ও দাফন করা হবে
মাহতাব রহমান ভূঁইয়া (১৫) কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার রাজামেহার ইউনিয়নের চুলাশ ভূঁইয়া বাড়ির মো. মিনহাজুর রহমান ভূঁইয়ার একমাত্র ছেলে। তাঁরা ঢাকার উত্তরায় একটি বাসায় থাকেন। সে মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজের ইংলিশ ভার্সনের ৭ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাবা মিনহাজুর রহমান ভূঁইয়া গ্রেটওয়াল সিরামিকের এজিএম।
গত সোমবার দুপুরে রাজধানীর দিয়াবাড়ীতে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছে ৩০ জন। নিহতদের মধ্যে ২২ জনের পরিচয় শনাক্ত করে তাদের পরিবার ও আত্মীয়দের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে এখনো ৭ জনের মরদেহ শনাক্ত করা যায়নি।