মহামান্য
হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা এবং কুমিল্লার আশরাফপুর টার্মিনাল বুকিং কাউন্টার
সীলগালা করে দেওয়ার পরও কুমিল্লা-চাঁদপুর সড়কে অবৈধভাবে চলাচল করছে আইদি
পরিবহনের বাস সার্ভিস। নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করেই বর্তমানে অবৈধ এ বাস
সার্ভিসটিতে আরো বেশ কিছু বাস যুক্ত করে পুরোদমে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে
বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এর আগে কুমিল্লা-চাঁদপুর সড়কে চলাচলকারী আইদি
পরিবহনের বাস পরিষেবায় স্থগিতাদেশ দেন মহামান্য হাইকোর্ট। এর প্রেক্ষিতে
আপীল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আপীল করে আইদি
পরিবহন কর্তৃপক্ষ। সেই আপীলের শুনানীতে তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে নো-অর্ডার
ডিরেকশন দিয়ে পূর্বের স্থগিতাদেশ বহাল রাখা হয়।
কিন্তু স্থগিতাদেশ
অমান্য করেই কুমিল্লা-চাঁদপুর সড়কে আইদি পরিবহন চলাচল করতে থাকলে
হাইকোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক গত ২৭ মার্চ বিকেলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের
নেতৃত্বে পুলিশ ও যৌথবাহিনীর সমন্বয়ে জেলা প্রশাসনের একটি টিম কুমিল্লার
আশরাফুরে আইদি পরিবহনের কাউন্টারে গিয়ে তা সীলগালা করে দেন। কিন্তু
এতোকিছুর পরও কুমিল্লা-চাঁদপুর সড়কে আইদি পরিবহনের অবৈধ চলাচল বন্ধ হয়নি।
পরবর্তীতে কুমিল্লার আশরাফুরের পরবির্তে প্রায় তিন কিলোমিটার সামনে পদুয়ার
বাজার বিশ^রোড কুমিল্লা-চাঁদপুর সড়ক সংলগ্ন পুলিশের এ এসপি সার্কেল অফিসের
সামনে থেকে চাঁদপুর পর্যন্ত অবৈধভাবে চলাচল করছে পরিবহনটি। সম্প্রতি তাদের
পরিবহনে অন্যান্য মালিকের আরো বেশ কয়েকটি গাড়ি যুক্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ
বিষয়ে কুমিল্লার প্রশাসন আংশিক পদক্ষেপ নিলেও চাঁদপুর জেলা ও পুলিশ
প্রশাসন এখনো এ বিষয়ে সম্পূর্ণ নির্বিকার ভূমিকা করছে। যে কারণে গাড়িগুলো
চাঁদপুর টার্মিনাল থেকে চলাচল করছে।
কুমিল্লা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের
নেতৃবৃন্দ জানান, মহামান্য হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কুমিল্লা
চাঁদপুর সড়কে অবৈধভাবে আইদি পরিবহনের বাস চলাচল করছে। এমতাবস্থায় আদালতের
প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে অবৈধভাবে আইদি পরিবহন বন্ধের জোর দাবি জানান।