তৃতীয় দফা
বৈঠকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনায় একমত পোষণ করেছেন আমার
বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।
তিনি বলেছেন, ‘এটি আদালতের রায়ের মাধ্যমে পুনঃপ্রতিষ্ঠা হয়ে গেছে। কমিশন
সকল দলের মতের ওপর ভিত্তি করে একটি প্রস্তাবনা দিয়েছে। যেখানে সংসদে
প্রতিনিধিত্ব করা রাজনৈতিক দলের নেতারাই সমাধান করবেন। সংসদের প্রধান দল,
বিরোধী দল, দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল মতামত দেবেন।’
রোববার (২০ জুলাই) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময়
এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার জুবায়ের আহমেদ ভূইয়া,
সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী) সাঈদ নোমান, সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল) গাজী
নাসির, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব সেলিম খান ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের
যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার ফারুক উপস্থিত ছিলেন।
আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন,
‘মতামতের ওপর ভিত্তি করে ৭ সদস্যের একটি প্যানেল করার ব্যাপারে সকল
রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে। যেখানে প্যানেল ৫ জন করে বাছাই করবেন। বাছাই
প্রক্রিয়া শেষে সরকারি দলের প্রস্তাব, বিরোধীদলের প্রস্তাব, দ্বিতীয়
বিরোধীদলের প্রস্তাব মিলে ৫ সদস্যের একটা প্যানেল হতে পারে। যদি প্রথম
স্টেজে সকল দল মিলে একমত হতে না পারে, তাহলে ৫ সদস্যের ওই প্যানেলে র্যাংক
চয়েজ ভোট হতে পারে। এক্ষেত্রে কিছু দ্বিমত আছে, যেখানে সংসদে সকল
প্রতিনিধিত্ব দলগুলোকে মতামতে অংশগ্রহণ করানো যায় কিনা সেই বিষয়ে আলোচনা
হয়েছে।’
এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগের
পদ্ধতির ব্যাপারে এবি পার্টি একমত। যদিও প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগের ব্যাপারে
আরও একটি প্রস্তাব এসেছে।’
ব্যারিস্টার ফুয়াদ আরও বলেন, ‘যেহেতু কোটার
বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়েছে। তাই জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের জন্য কলেজ
বিশ্ববিদ্যালয়ে রাখা ৫% কোটাকে অবমাননামূলক মনে করছি। কোটার বিরুদ্ধেমেধার
ভিত্তিতে সমাজ ও একটি রাষ্ট্রতৈরির এই আজাদির লড়াইয়ে আবার কোটা ফিরিয়ে আনা
অন্যায্য। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে জুলাই কোটার বিরুদ্ধে কমিশনে
আলোচন হওয়া উচিত। পাশাপাশি পুলিশ ও জনপ্রশাসন সংস্কার নিয়ে এখন পর্যন্ততেমন
কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি। এজন্য এবি পার্টি মনে করে, কমিশনে গুরুত্বের
সঙ্গে এই বিষয়গুলো নিয়ে দ্রুত আলোচনা হওয়া দরকার।’