জয়ের জন্য শেষ ১২ বলে ২২ রান দরকার ছিল হোবার্ট হারিকেন্সের। টি-টোয়েন্টির বিচারে খুব আহামরি টার্গেট নয়। তবে দারুণ বোলিংয়ে শেষ পর্যন্ত সেটিই অসম্ভব করে দিলেন রংপুরের বোলাররা। বিগ ব্যাশ চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে ১ রানের জয়ে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে আছে নুরুল হাসান সোহানের দল।
ম্যাচের ১৯তম ওভারে খালেদ আহমেদের প্রথম বলে ছক্কা হাঁকান মোহাম্মদ নবি। দ্বিতীয় বলে সিঙ্গেল নিয়ে নন স্ট্রাইক প্রান্তে আসেন আফগান ব্যাটার। পরের দুই বলে জোড়া শিকার করে ম্যাচে ফেরান দলকে। ২ উইকেটের ওভারে খালেদ দিয়েছেন ৯ রান। ফলে ম্যাচ জিততে হলে শেষ ওভারে ১৩ রান করতে হতো হোবার্টকে।
ইনিংসের শেষ ওভারে আক্রমণে আসেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। স্বদেশির প্রথম ৩ বলেই ৮ রান নেন নবি। চতুর্থ বলে রংপুরকে ম্যাচে ফেরান আজমতউল্লাহ ওমরজাই। উসামা মীর ও বিলি স্টেইনলেক মিলে শেষ ২ বলে হোবার্টের ৪ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেননি। টানা দুই জয়ে উড়ছে গ্লোবাল সুপার লিগের চ্যাম্পিয়নরা। আর একটি ম্যাচ জিততে পারলেই টানা দ্বিতীয় আসরে গ্লোবাল সুপার লিগের ফাইনাল নিশ্চিত করবে রংপুর।
গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে টস হেরে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল রংপুর। ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই ফেরেন সৌম্য সরকার। সাজঘরে ফিরেছেন ব্যক্তিগত ৫ রানে। অন্য প্রান্তে ইব্রাহিম জাদরান ভালো শুরু পেলেও হাফ সেঞ্চুরি মিস করেছেন। ৩১ বলে ৪৩ রানের ইনিংস খেলে ফেরেন আফগান ওপেনার। পরবর্তীতে ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি ইয়াসির আলী রাব্বি, সোহান, ওমরজাই ও ইফতিখারের কেউই। তবে দারুণ ব্যাটিংয়ে রংপুরকে একাই টানছিলেন মায়ার্স। শেষ পর্যন্ত ৩৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটার অপরাজিত ছিলেন ৪২ বলে ৬৭ রানের ইনিংস খেলে। হোবার্টের হয়ে উসামা তিনটি ও ফ্যাবিয়েন দুটি উইকেট নিয়েছেন।
জয়ের জন্য ১৫২ রান তাড়ায় শুরু থেকেই ধুঁকছিল হোবার্ট হ্যারিকেন্স। ইনিংসের প্রথম ওভারেই রংপুরকে উইকেট এনে দেন মায়ার্স। এরপর ম্যাকডরমট ও ম্যাক রাইটের দারুণ জুটিতে এগিয়ে যেতে থাকে বিগ ব্যাশের চ্যাম্পিয়নরা। জমে যাওয়া জুটি ভেঙে দলকে ব্রেকথ্রু এনে দেন খালেদ আহমেদ। এই ম্যাচে চার উইকেট শিকার করেন তিনি। এ নিয়ে টানা দুই ম্যাচে ৪টি করে উইকেট পেলেন।