টেস্ট
সিরিজে আশাব্যঞ্জক শুরু করেও হতাশায় সমাপ্তি। মিশ্র অভিজ্ঞতা শ্রীলঙ্কার
বিপক্ষে ওয়ানডেতেও। একই দশা চলতি টি-টোয়েন্টি সিরিজেও। সব মিলিয়ে খুব একটা
ভালো অবস্থায় নেই বাংলাদেশ দল। তবে খোলামেলা তাদের সমালোচনার পক্ষে নন
বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
মে মাসের শেষ দিকে আমিনুল দায়িত্ব
নেওয়ার পর এখন পর্যন্ত তেমন ভালো খেলতে পারেনি বাংলাদেশ। পাকিস্তানে
টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশড হওয়ার পর চলতি শ্রীলঙ্কা সফরেও হেরেছে
টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ।
টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ম্যাচে নাকানিচুবানি খাওয়ার
পর অবশ্য দ্বিতীয়টিতে তারা ঘুরে দাঁড়িয়েছে দারুণভাবে। আমিনুলের আশা, ভালো
পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিততে পারবে
বাংলাদেশ।
রাজধানীর পল্টন উডেন ফ্লোর জিমনেশিয়ামে ৩৯তম জাতীয়
ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত
ছিলেন আমিনুল। পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শ্রীলঙ্কা সফরে জাতীয় দলের
পারফরম্যান্স নিয়ে কথা বলেন বিসিবি সভাপতি।
“আমি হয়তো সিরিজ শেষে
বিশ্লেষণ করতাম। এখন পর্যন্ত টেস্ট সিরিজটা যদি দেখেন, প্রথম ম্যাচটা হয়তো
আমরা জেতার মতো অবস্থা তৈরি করেছিলাম। দ্বিতীয় টেস্ট হেরে গেলাম। প্রথম
ওয়ানডেতে আমরা একটু সেন্সিবল খেললে হয়তো ম্যাচটা জিততেও পারতাম। তারপর শেষ
ওয়ানডেটা আমরা হেরে গেলাম।”
“প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচটা আমরা ভালো
খেলিনি। কালকে আমরা ভালো খেলেই জিতেছি। আরেকটা ম্যাচ বাকি আছে। সব মিলিয়ে
আমার মনে হয়েছে, বেশ কিছু উন্নতির জায়গা আছে। তারপরও আমি বলব যে, আমাদের দল
ভালো খেলছে। আশা করি, নেক্সট ম্যাচটা ভালো খেললে সিরিজটা জিততে পারি।”
দ্বিতীয়
টি-টোয়েন্টি জিতলেও, বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের অধিক মানানসই শামীম হোসেন ও জাকের আলির আগে মেহেদী
হাসান মিরাজের আগে নামা নিয়ে চলছে অনেক সমালোচনা।
এতে অংশ নিতে চান না আমিনুল। বরং দলের সিদ্ধান্তে নিজের সমর্থন জানালেন তিনি।
“প্রেসিডেন্ট
হিসেবে দল সম্পর্কে আমার মন্তব্য করা উচিত না। একটা স্ট্র্যাটেজির মধ্যে
তারা খেলে। তাদের একটা গেম প্ল্যান আছে। প্রত্যেকটা ব্যাটসম্যানের কিছু গেম
প্ল্যান থাকে। হয়তো এরই একটা অংশ ছিল (মিরাজকে আগে নামানো)। আমি কোচ হলে
(কী করতাম), এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দলের সিদ্ধান্ত
সাপোর্ট করা উচিত আমার”
এসময় প্রায় এক বছর ধরে থমকে আছে জাতীয় দলে
সাকিব আল হাসানের অধ্যায়। গত কয়েক মাসে তার ব্যাপারে নির্দিষ্ট কিছু বলতে
পারেননি বিসিবির দায়িত্বশীলদের কেউই।
আমিনুলও বল ঠেলে দিয়েছেন নির্বাচকদের কোর্টে।
“সাকিব
তো এভেইলেবল ক্রিকেটার। এখনও বাংলাদেশ দল থেকে সব সংস্করণে অবসর নেয়নি।
তার সঙ্গে কথা বলব। তার সঙ্গে কথা বলার পর আমরা সিদ্ধান্ত নেব। এর আগেও আমি
বহুবার বলেছি, এটা পুরোপুরি নির্ভর করছে বাংলাদেশ দলের নির্বাচকদের ওপর।”
“আমার
সঙ্গে বেশ কিছু দিন ধরে (সাকিবের সঙ্গে) যোগাযোগ হয়নি। আমাদের
আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো যোগাযোগ হয়নি। আবারও বলছি, এই কাজটা নির্বাচকদের এবং
নির্বাচকরাই এই সিদ্ধান্তটা নেবে। আমার যে দায়িত্ব, আমি ক্রিকেট বোর্ড
চালাই, দল নির্বাচন করি না।”
আগামী মাসে ভারতীয় দলের বাংলাদেশ সফর
স্থগিত হওয়ার পর অনিশ্চয়তা জেগেছিল ঢাকায় অনুষ্ঠেয় এশিয়ান ক্রিকেট
কাউন্সিলের (এসিসি) সাধারণ সভা নিয়েও। আমিনুল নিশ্চিত করলেন, নির্ধারিত
সময়েই হবে এসিসির এই বৈঠক।
“এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের কোনো বড় মিটিং এর
আগে আমরা হোস্ট করিনি। আমরা ২৩ তারিখে একটা অফিসিয়াল ডিনার ও ২৪ তারিখে
এসিসির বৈঠক ঢাকায় করব। যেখানে প্রায় সব দেশই অংশ নেবে। এটা আমাদের জন্য
একটা বড় পাওয়া। এখন পর্যন্ত সব ঠিক আছে। পরবর্তী তথ্য আপনারা পরে পাবেন।”