দাউদকান্দি
উপজেলার মারুকা ইউনিয়নের চক্রতলা গ্রামের সুরুজ মিস্ত্রির ছেলে মোঃ পাবেল
(২৫) কে আটক করে ব্যাপক মারধর করে মুক্তিপণ চায় একটি চক্র। এমন খবরে স্ট্রক
করে মারা যান তার বাবা সুরুজ মিয়া ( ৬০)।
১৩ জুলাই রবিবার দুপুরে
উপজেলার গৌরীপুর পশ্চিম বাজারে এমন ঘটনা ঘটে। পড়ে পরিবারের পক্ষে ৫০ হাজার
টাকা দিলে চক্রটি পাভেলকে ছেড়ে দেয়।
নিহতের পরিবার জানান, পাবেল রবিবার
দুপুরে গৌরীপুর বাজারে কবুতর ক্রয় করতে যান। বাজারে পৌঁছালেই গৌরীপুর
বাজারে একটি চক্র তাকে টার্গেট করে। কিছুক্ষণ পড় ওই চক্রটি সুযোগ বুঝে তাকে
মারধর করে এক পর্যায়ে তার হাত পা চোখ বেধে কোন এক গলির বিল্ডিং এ নিয়ে
যায়। পরে আটককৃত পাভেলের ব্যবহৃত ফোন থেকে বাড়িতে ফোন দিয়ে ৫০ হাজার টাকা
দাবি করেন। ছেলের এমন সংবাদে পাভেলের বাবা স্ট্রক করলে তাৎক্ষণিক উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স (গৌরীপুর) নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা
করেন।
"ভাই তোরা কি মানুষ? এমন নিরহ মানুষদের সাথে কেউ এইরকম করে? আজ
তোদের কারনে একটা মানুষের জীবন শেষ। এমন অমানবিক নির্যাতনের ঘটনার বর্ণনা
দিয়ে তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আটকৃত
পাভেলের মার ধরের ছবি ভাইরাল হয়ে নেট দুনিয়ায় ছডিয়ে পড়ে।
আটককৃত পাভেলের
মামাতো ভাই মোঃ কাইয়ূম বলেন, পাভেল একজন সহজ সরল ছেলে। তার বাবার ব্যবসায়
চক্রতলা বাজারে ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়াকসপের কাজ করেন। তার শত্রু কেউ আছে বলে
আমার জানা নেই। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে অনুরোধ জানাই ঘটনাটি
উদ্ঘাটন করে চক্রটিকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া হোক।
গৌরীপুর পুলিশ
তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোঃ মনিরুজ্জামান জানান, সামাজিক
যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি জেনে আমরা দ্রুত ভিকটিমের কাছে পৌঁছাই। অপহরণের
সাথে সম্পৃক্তদের ধরতে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
দাউদকান্দি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জুনায়েত চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল এবং ভিকটিমের কাছে গিয়েছে।
অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে
সোমবার সকাল ১০ টায় ভিকটিম পাভেলের বাবা সুরুজ মিয়ার জানাজা শেষে দাফন
সম্পন্ন করা হয়। বর্তমানে পাভেল দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
গৌরীপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।