জাতীয়
গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন ঢাকার ধানমন্ডি ও
মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন পরিত্যক্ত বাড়িতে আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ (গৃহায়ন
ধানমন্ডি) (১ম পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় সাবেক সচিব, অবসরপ্রাপ্ত বিচারক এবং
অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ১২টি ফ্ল্যাটের বরাদ্দ বাতিল করে
আদেশ জারি করেছে সরকার।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।
আদেশে
বলা হয়েছে, ‘ঢাকার ধানমন্ডি ও মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন পরিত্যক্ত বাড়িতে
আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ (গৃহায়ন ধানমন্ডি) (১ম পর্যায়) প্রকল্পের আওতায়
ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার সড়ক নং-১৩ (নতুন-৬/এ)-এর বাড়ি নং-৭১১ (নতুন-৬৩)-তে
নির্মাণাধীন ভবনে বরাদ্দ করা এসব ফ্লাটের বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে।’
সাবেক
অবসরপ্রাপ্ত বিচারক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক কমিশনার মো. জহুরুল হক
(ফ্ল্যাটের আয়তন ৪১০৫.০৫ বর্গফুট), সাবেক সিনিয়র সচিব মো. ইউনুসুর রহমান
(ফ্ল্যাটের আয়তন ২৩১৫.৮৩ বর্গফুট), সাবেক সিনিয়র সচিব ও দুর্নীতি দমন
কমিশনের সাবেক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান (ফ্ল্যাটের আয়তন ৪৩০৮.৬৮
বর্গফুট), সাবেক সচিব এম এ কাদের সরকার (ফ্ল্যাটের আয়তন ২০৪৯.১৩ বর্গফুট),
সাবেক সিনিয়র সচিব ড. এম আসলাম আলম (ফ্ল্যাটের আয়তন ২০৪৯.১৩ বর্গফুট),
সাবেক সচিব আকতারী মমতাজ (ফ্ল্যাটের আয়তন ২০৪৯.১৩ বর্গফুট), সাবেক সচিব মো.
সিরাজুল হক খান (ফ্ল্যাটের আয়তন ২৩১৫.৮৩ বর্গফুট), সাবেক সিনিয়র জেলা ও
দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ (ফ্ল্যাটের আয়তন ২৩১৫.৮৩ বর্গফুট), সাবেক
রেজিস্ট্রার জেনারেল ও সাবেক সিনিয়র জেলা জজ সৈয়দ আমিনুল ইসলাম (ফ্ল্যাটের
আয়তন ২০৪৯.১৩ বর্গফুট), মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক
অধ্যাপক নেহাল আহমেদ (ফ্ল্যাটের আয়তন ২০৪৯.১৩ বর্গফুট), সাবেক সিনিয়র সচিব
ও সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান (ফ্ল্যাটের আয়তন ২৩১৫.৮৩
বর্গফুট) এবং সাবেক সিনিয়র সচিব এস. এম. গোলাম ফারুকের (ফ্ল্যাটের আয়তন
২০৪৯.১৩ বর্গফুট) নামে এসব ফ্ল্যাট বরাদ্দ দিয়েছিল বিগত আওয়ামী লীগ সরকার।
সংবাদ
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের গঠিত কমিটির প্রতিবেদন
এবং জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের ২৭৪তম বোর্ড সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তের আলোকে
এসব ফ্ল্যাটের বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে।