মাসুদ পারভেজ।।
কুমিল্লার
মুরাদনগরের বাঙ্গরাবাজার কড়ইবাড়িতে মা ও তার দুই সন্তানসহ তিনজনকে কুপিয়ে,
পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ৮ আসামির রিমান্ড শুনানি হবে আজ। আজ বুধবার
(৯ জুলাই) কুমিল্লার ১১ নং আমলি আদালতের বিচারক মমিনুল হকের কোর্টে ওই ৮
আসামির রিমান্ড শুনানি হবে। এর আগে গেল ৭ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও
বাঙ্গরা থানার উপরিদর্শক (এসআই) আবু তাহের আসামিদের রিমান্ডে নিতে ৭দিন করে
রিমান্ড আবেদন করেন।
এদিকে দেশজুড়ে আলোচিত চাঞ্চল্যকর এ ট্রিপল
মার্ডারের হত্যা মামলাটি জেলা পুলিশের গোয়েন্দো শাখায় (ডিবি) হস্তান্তর করা
হয়েছে। মামলাটি বর্তমানে ডিবির কাছে তদন্তরভার রয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত
বাকিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মামলার তদন্তরভার
ডিবিকে দেয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করে কুমিল্লা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ বলেন, মুরাদনগরের আলোচিত ট্রিপল মার্ডার মামলাটি
ডিবিকে দেয়া হয়েছে তদন্তের জন্য। আদালত আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানি শেষে
রিমান্ড মঞ্জুর করলে গোয়েন্দা বিভাগ ৮ আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের
হেফাজতে নিবেন।
এর আগে কুমিল্লার মুরাদনগরের বাঙ্গরাবাজার কড়ইবাড়িতে
ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় পরিবারের করা মামলায় আসামিদের মধ্যে র্যাবের
অভিযানের ঢাকা থেকে ৬ জন এবং যৌথবাহিনীরর অভিযানে কুমিল্লার মুরাদনগর থেকে
২জনকে গ্রেফতার করা হয়। রোববার বিকেলে গ্রেফতার ৬ আসামিকে কুমিল্লার ৫
নম্বর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক সিদ্দিক
আজাদ পাঁচজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এসময় মামলার ৩ নম্বর আসামি
আকবপুর ইউপি সদস্য বাচ্চু মিয়া মেম্বার আদালতে স্বেচ্ছায় ১৬৪ ধারায়
জবানবন্দি দিতে রাজি হন। পরে তার বক্তব্য রেকর্ডের প্রক্রিয়া নেওয়া হয়।
কিন্তু প্রায় আড়াই ঘণ্টা অপেক্ষার পর তিনি আর স্বীকারোক্তি দিতে রাজি হননি।
পরে আদালত তাকেও কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে
তাকেও কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। এ নিয়ে এই মামলায় মোট আটজনকে
কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে শনিবার (৫ জুলাই) সন্ধ্যায় যৌথবাহিনীর হাতে
আটক ২ আসামিকে পুলিশের মাধ্যমে আদালতে হাজির করা হলে আমলি আদালত ১১-এর
বিচারক মমিনুল হক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, গেল
শুক্রবার (৪ জুলাই) বাঙ্গরাবাজার থানা এলাকার কড়ইবাড়ীতে মাদক সম্পৃক্ততার
অভিযোগ এনে নিজ বাড়ির সামনে রোকসানা বেগম রুবি, তার মেয়ে জোনাকি আক্তার ও
ছেলে রাসেল মিয়াকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় শুক্রবার গভীর
রাতে রুবির মেয়ে রিক্তা আক্তার বাদী হয়ে ৩৮ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত
পরিচয় আরও ২৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।