নিখোঁজ
হওয়ার ২ দিন পর কুমিল্লার মুরাদনগরে ছোট ভাইয়ের স্ত্রীর প্রেমিকের ঘর থেকে
মাটিচাপা অবস্থায় ৪৫ বছর বয়সী মনির মিয়া নামের এক দিনমজুরের মরদেহ উদ্ধার
করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে ওই ঘরে তীব্র দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়দের
সন্দেহ হয়। তাদের তথ্যের ভিত্তিতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ঘরের মেঝো খুঁড়ে
একটি চটের বস্তায় মোড়ানো মনির মিয়ার মরদেহটি উদ্ধার করে। এই ঘটনায় এলাকায়
ব্যাপক চাঞ্চল্য ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
মনির মিয়া নিখোঁজের বিষয়ে
পরিবারের পক্ষ থেকে বুধবার মুরাদনগর থানায় একটি জিডি করা হয়েছিল। কিন্তু কে
জানতো, নিখোঁজ মনির মিয়াকে এত মর্মান্তিক অবস্থায় খুঁজে পাওয়া যাবে!
বৃহস্পতিবার দুপুরে যখন দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে ছোট ভাইয়ের স্ত্রীর
প্রেমিক ইব্রাহিম মিয়ার ঘর থেকেই মরদেহটি পাওয়া গেল, তখন হতবাক হয়ে পড়েন
সবাই।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত মনির মিয়ার ছোট ভাই তাজুল ইসলাম
সংসারের তাগিদে সিলেট থাকেন। এ সুযোগে সাহিদা আক্তারের সাথে পরকীয়া
সম্পর্কে জড়ায় প্রতিবেশী মনিরুল ইসলামের ছেলে ইব্রাহিম মিয়া। বিষয়টি জানতে
পেরে ভাসুর মনির মিয়া ছোট ভাইয়ের স্ত্রী সাহিদা আক্তারকে শাসন করে। এতে
ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়।
বিষয়টি জেনেও গোপন রাখে
ইব্রাহিম মিয়ার মা আমেনা বেগম। প্রাণনাশের ভয়ে মুখ বন্ধ থাকলেও এলাকাবাসীর
চাপে বৃহস্পতিবার তা প্রকাশ্যে স্বীকার করে। জানতে পেরে এলাকাবাসী
বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। পরে উত্তেজিত জনতা সাহিদা আক্তার ও ইব্রাহিম মিয়ার ঘর
ভাংচুর করে তাদেরকে আটকপূর্বক উত্তম মাধ্যম দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। পরে
আমেনা বেগমকেও আটক করে গ্রামবাসী পুলিশে দেয়।
মুরাদনগর থানার ওসি
জাহিদুর রহমান জানান, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি পূর্ব
পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে। এই নৃশংস
হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ৩জনকে আটক করা
হয়েছে। মনির মিয়ার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো
হয়েছে।