কুমিল্লার মুরাদনগরে এক অজ্ঞাতপরিচয় মানসিক ভারসাম্যহীন নারীর লাশ দাফন করেছে স্থানীয় জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় শনিবার দুপুরে মুরাদনগর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে এই দাফন সম্পন্ন হয়।
দাফন কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ উপজেলা শাখার সেক্রেটারি মু. হাজী আবদুল করিম, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী উপজেলা শাখার কর্মপরিষদ সদস্য ও বায়তুলমাল সম্পাদক আবু বকর সরকার, এবং মুরাদনগর উপজেলা সদর ইউনিয়নের জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী মু. নাজমুস সাকিব তন্ময় সহ উভয় সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
মুরাদনগর উপজেলা সদর ইউনিয়নের জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী মু. নাজমুস সাকিব তন্ময় জানান, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের বেওয়ারিশ লাশের বিষয়ে জানানো হয় এবং দাফনের ব্যাপারে তাদের সাথে আলোচনা করা হয়। এরপর জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলনের পক্ষ থেকে তারা মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে লাশটি দাফনের ব্যবস্থা করেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মৃত মহিলা মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন ছিলেন এবং বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে রাস্তায় পড়েছিলেন। এক মাস আগে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি তাকে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সিরাজুল ইসলাম মানিক-এর তত্ত্বাবধানে তিনি এক মাস ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন এবং শারীরিকভাবে অনেকটা সুস্থও হয়েছিলেন। তবে গত শুক্রবার (১৩ জুন) রাত সাড়ে আটটায় তিনি হঠাৎ মৃত্যুবরণ করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজ করেও তার পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম মানিক জানান, মহিলাটি যখন হাসপাতালে ভর্তি হন, তখন তার স্মৃতিশক্তি ছিল না এবং তিনি নিজের নাম-পরিচয় বলতে পারতেন না। তার শরীরে কিছু চুলকানিও ছিল। হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা সবাই মিলে সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন এবং তিনি কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন।
হাসপাতালের কর্মচারীরা জানান, মহিলাটি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সবাই তার প্রতি বিশেষ খেয়াল রেখেছেন। হাসপাতালের অনেক রোগীও তাকে সহযোগিতা করেছেন। আউটসোর্সিংয়ে কাজ করা হোসনা আক্তার নামে এক কর্মচারী শুরু থেকেই তাকে অনেক সেবা দিয়েছেন বলেও তারা উল্লেখ করেন।