কুমিল্লা
সদর উপজেলার গোমতীর বেড়িবাঁধ এলাকা দূর্গাপুর, আমতলী ও আড়াইউড়ায় গ্রামের
প্রায় ১২শ মিটার উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এ সময়
বেঁড়িবাঁধের নিচে দখলে থাকা শতাধিক বাড়িঘর ও পাকা স্থাপনা ও গাছ পালা
বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বেলা ১২টা থেকে
বিকেল পর্যন্ত চলে এই উচ্ছেদ অভিযান।
উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছেন
আর্দশ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানজিনা জাহান। এ সময় পানি উন্নয়ন
বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আশরাফুজ্জামান খান, সরকারি রাজস্ব
কর্মকর্তা মো.আরিফুর রহমান, সার্ভেয়ার (রাজস্ব) মোসা. জেসমিন আক্তারসহ
অন্যন্যা কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার
দুপুরে উপজেলার দুর্গাপুর এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গোমতী নদীর
বেঁড়িবাঁধের ওপর গড়ে উঠা বিভিন্ন বাড়ি ঘর, পাকা স্থাপনা, দোকান পাট ও টিনের
সেডসহ বিভিন্ন স্থাপনা বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। এসময়
ক্ষুব্ধ কয়েকজন বুলডোজার চালককে হামলা চালানোর চেষ্টা চালান। পরে স্থানীয়
লোকজন ও পুলিশ বুলডোজার চালককে রক্ষা করেন।
কুমিল্লা পানি উন্নয়ন
বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আশরাফুজ্জামান খান বলেন, গোমতী নদীর
বেঁড়িবাঁধ সংস্কার ও প্রসস্তকরণ প্রকল্পের কাজের জন্য বেড়িবাঁধ সংলগ্ন
এলাকায় যারা পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখল করে বাড়িঘর ও পাকা স্থাপনা
নির্মাণ করেছিলেন তাদেরকে স্থাপনা সরানোর জন্য গত তিন মাস থেকে বলা হচ্ছে,
এরপর নোটিশ করা হয়েছে, সর্বশেষ মাইকিংও করা হয়েছে তাতেও দখলদাররা স্থাপনার
সরাননি এ জন্য অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব
দেয়া কুমিল্লা আর্দশ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানজিনা জাহান
বলেন, গোমতী বেঁড়িবাঁধের সংস্কার ও প্রসস্থকরণ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।
গত দুই মাস আগ থেকে এ কাজ চলছে। এখন যেহেতু প্রকল্পের কাজ শুরু হবে সেহেতু
বাধের পাশে যারা পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখল করে বাড়ি ঘর নির্মাণ করা
হয়েছে তাদের উচ্ছেদ করতে হবে। এ জন্য গতকাল ও আজকে দুটি অভিযান পরিচালনা
করা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে দখলদারদের একটি তালিকা ছিল সেই তালিকা
অনুযায়ী উচ্ছেদ করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, উচ্ছেদের পূর্বে সকলকে নোটিশ
করা হয়েছে, একাধিকবার মাইকিং করা হয়েছে, এটি আসলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের
বেঁড়িবাধের জায়গা এখানে থাকার কোন জায়গা না। এখানে যারা প্রকৃত ভূমিহীন
রয়েছে তারা যদি মাননীয় জেলা প্রশাসকের বরাবর আবেদন করেন তাহলে তাদের
পুর্নবাসনের ব্যবস্থা হতে পারে।