চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি: র‌্যাব পরিচয়ে সিএনজি অটোরিকশা ছিনতাইয়ের পর জিপিএস ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে মাত্র ৩ ঘন্টার মধ্যেই ছিনতাইকারীকে আটক ও অটোরিকশা উদ্ধার করেছে হাইওয়ে থানা পুলিশ। কুমিল্লার সদর দক্ষিণ এলাকা থেকে ছিনতাই হওয়া সিএনজি অটোরিকশাটি চৌদ্দগ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয়। বুধবার বিকেলে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশের সার্কেল এডিশনাল এএসপি মোঃ খায়রুল আলম।
হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার পদুয়ার বাজার থেকে ভুশ্চি-বাঙ্গড্ডা সড়কে যাত্রী পরিচহন করা সিএনজি অটোরিকশায় যাত্রীবেশে উঠে আল মাহফুজ হৃদয়। পথিমধ্যে তিনি চালকের সাথে আলাপকালে চালক মনির হোসেনকে র‌্যাব-১১ কুমিল্লা শাকতলার গোয়েন্দা অফিসার হিসেবে পরিচয় দেন। একপর্যায়ে সরকারী বাহিনীর ডিউটি করেছেন কি না চালকের কাছে জানতে চান এবং তার মোবাইল নাম্বারটি সংগ্রহ করে নেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আল মাহফুজ হৃদয় ওই চালককে কল করে পরদিন মিয়াবাজার এলাকায় বিশেষ অভিযান আছে বলে কুমিল্লা জাঙ্গালিয়া বাসস্ট্যান্ডে আসতে বলেন এবং চালকের সাথে দুই হাজার টাকা ভাড়ায় চুক্তি করেন। রাত ৮টায় চালক মনির হোসেন জাঙ্গালিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে আল মাহফুজ হৃদয়কে নিয়ে মিয়াবাজার যাওয়ার পথে শুয়াগাজী বাজার নামক স্থানে পৌঁছলে আল মাহফুজ হৃদয় মোবাইলে অন্যের সাথে কথা বলে অন্য জায়গায় আকস্মিক অভিযানের কথা বলে গাড়ি ঘুরিয়ে রাজেশপুর ইকোপার্কে নিয়ে যায়। এরপর সহযোগীদের নিয়ে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চালককে দুটি গামছা দিয়ে গাছের সাথে বেঁধে অটোরিকশা নিয়ে চলে যায়। 
চালক মনির হোসেন বলেন, বৃষ্টির মধ্যে অন্ধকারে গাছের সাথে বেঁধে রাখা অবস্থায় আধা ঘন্টা চেষ্টার পর বাঁধন খুলতে সক্ষম হই। পাশ্ববর্তী এক বাড়িতে সাহায্য না পেয়ে দেড় কিলোমিটার দূরে স্থানীয় একটি বাজারে গিয়ে গাড়ির মালিক আমার বড় ভাইকে কল করে ছিনতাইয়ের ঘটনা জানাই। তৎক্ষণাৎ গাড়ির সেল সেন্টারে কল দিলে তারা গাড়িতে থাকা জিপিএস ট্র্যাক করে গাড়ির অবস্থান নির্ণয় করে। সাথে সাথে হাইওয়ে পুলিশের মোবাইল টিমকে জানালে রাত ১১টায় চৌদ্দগ্রামে মহাসড়কের ডলি রিসোর্টের সামনে থেকে গাড়িসহ কথিত র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার অফিসার ছিনতাইকারী আল মাহফুজ হৃদয়কে আটক করে।
মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার ইনচার্জ সাহাব উদ্দিন বলেন, ‘ছিনতাইকারী আল মাহফুজ হৃদয়ের বিরুদ্ধে রংপুর ও কুমিল্লায় দুটি মামলা রয়েছে। তাকে প্রধান আসামী করে চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা করা হচ্ছে। মহাসড়কে ছিনতাই রোধে হাইওয়ে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে’।