দেশের ফুটবলে এখন প্রবাসী ফুটবলারদের নিয়ে আলাদা উন্মাদনা। জামাল ভূঁইয়া ছিলেন আগেই। এরপর একে একে হামজা চৌধুরী, কাজেম শাহ, ফাহমিদুল ইসলাম আর সামিত শোমরা মিলে তাতে যোগ করেছেন আলাদা এক উন্মাদনা। আলোচনা চলছে আরেক প্রতিভাবান তারকা কিউবা মিচেলকে নিয়ে।
এমন আলোচনার মাঝেই বাংলাদেশি ফুটবলার নাবিল ইরফান চলে এলেন আলোচনায়। কাতারের স্টার্স লিগের ক্লাব আল-ওয়াকরাহ এসসিতে খেলেন নাবিল। এর আগে খেলেছেন কাতারের অনূর্ধ্ব-২৩ দলে। এবার তিনি ডাক পেয়েছেন কাতার জাতীয় দলের ক্যাম্পে। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ইরান ও উজবেকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য কাতারের স্প্যানিশ কোচ হুলেন লোপেতগুই দলে রেখেছেন নাবিলকে।
কাতার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে নাবিল ইরফানকে দলে ডাকার বিষয়টি গুরুত্বের সাথেই প্রচার করা হয়েছে।
২১ বছর বয়সী এই ফুটবলার ২০২১ সাল থেকে খেলছেন আল-ওয়াকরাহ এসসিতে। নাবিলের পজিশনিং বলতে গেলে হামজা চৌধুরীর মতোই। ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবেই বেশি দেখা যায় বাংলাদেশের যুবককে। তবে দরকারে খেলতে পারেন রাইট ব্যাক হিসেবেও।
নাবিলের বাবা-মা দুজনেই বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাসিন্দা। চাকুরিসুত্রে কাতারে থাকেন তারা। ২০০৪ সালে কাতারের আল ওয়াকরাহতে জন্মগ্রহণ করেন নাবিল। সেখানেই অ্যাসপায়ার একাডেমিতে ফুটবল যাত্রা শুরু তরুণ ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারের। অ্যাসপায়ার একাডেমি থেকে নাবিল আল ওয়াকরাহ ক্লাবের যুব দলে জায়গা করে নিয়েছে। নাবিল ২০২১-২২ মৌসুমে ১৭ বছর বয়সে ক্লাবের মূল দলে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন।
তিনি অনূর্ধ্ব-১৬ এশিয়া কাপের বাছাইপর্বে তার বয়স ভিত্তিক অভিষেক করেছিলেন। সেই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলেছিলেন নাবিল। এরপর ২০২২ সালে কাতারের অনূর্ধ্ব-২৩ দলে ডাক পান নাবিল। ২০২৩ সালে অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়া কাপে কাতারের জার্সিতে ছিলেন তিনি। খেলেছেন অনূর্ধ্ব-২৩ দলের সঙ্গেও।
বলতে গেলে দীর্ঘদিন কাতার জাতীয় দলের রাডারে থাকার সুফলই এবার পেলেন নাবিল ইরফান।