স্টাফ
রিপোর্টার, লালমাই: বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোবাশ্বের
আলম ভুঁইয়ার কর্মীদের উপর হামলা ও তাঁর ব্যক্তিগত গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায়
৮জনের নাম উল্লেখ করে কুমিল্লার লালমাই থানায় মামলা দায়ের করেছেন জহিরুল
ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। তিনি উপজেলার ভুলইন দক্ষিণ ইউনিয়নের মগের কলমিয়া
গ্রামের আলী আক্কাসের ছেলে। মামলায় প্রধান আসামী করা হয়েছে লালমাই উপজেলা
বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও সদর দক্ষিণ উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক
ফরহাদ হোসেন (৪৭) কে। বুধবার (১১ জুন) সন্ধ্যায় তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন
লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: শাহ আলম।
মামলার অন্য
আসামীরা হলেন- লালমাই উপজেলার ভুলইন দক্ষিণ ইউনিয়নের জামুয়া গ্রামের আবুল
কালামের ছেলে জাকির হোসেন (৪০), পরতি গ্রামের মাওলানা আব্দুল লতিফের ছেলে
কাজী জাফর আহম্মদ রাজন (৩৭), মৃত আলী আশ্রাফ মিয়ার ছেলে কামাল হোসেন (৪৫),
আমুয়া গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে আবু হানিফ (৩৩), পরতি গ্রামের
আব্দুল বারিকের ছেলে ডা. জুবায়ের (২৭), সুলতান আহম্মদের ছেলে জয়নাল কাজী
(৩৭), রহমতপুর চেঙ্গাহাটা গ্রামের ইসমাইল মিয়ার ছেলে আবুল হাশেম (৫২)।
মামলার
বিবরণ ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী
কমিটির সদস্য মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া মঙ্গলবার লালমাই উপজেলার বিভিন্ন
গ্রামে গিয়ে তাঁর সমর্থিতদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। বাদ মাগরিব
উপজেলার ভুলইন দক্ষিণ ইউনিয়নের ভুশ্চি বাজারের করিম মজুমদার মার্কেটের
হোটেল মেজবানে নেতা কর্মীদের নিয়ে তাঁর শুভেচ্ছা বিনিময় করার কথা ছিল।
কিন্তু তিনি হোটেলে পৌঁছার আগেই তার সমর্থিতরা হোটেলে অবস্থান করেন। তখন
হঠাৎ কিছু যুবক মোবাশ্বের আলম ভুঁইয়া সমর্থিতদের উপর হামলা করে এবং হোটেলের
কয়েকটি থাই গ্লাস ভাংচুর করে। ঘটনার সময় মোবাশ্বের আলম ভুঁইয়া ভুশ্চি
বাজারের অন্য একটি মার্কেটের সামনে অবস্থান করছিলেন।
পরবর্তীতে ভুশ্চি
বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র সংলগ্ন এলাকায় পার্কিংয়ে থাকা মোবাশ্বের আলম
ভুঁইয়ার ব্যক্তিগত গাড়িটি অজ্ঞাত ব্যক্তিরা ভাংচুর করে।
লালমাই থানার
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: শাহ আলম বলেন, হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায়
থানায় ৮জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে
অভিযান অব্যাহত রয়েছে।