বাংলাদেশ
চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে (বিএসএল) একের পর এক রেফারির উপর আক্রমণের ঘটনা ঘটছে।
এবার সমর্থক ও কর্মকর্তাদের হাতে মারধোরের শিকার হয়েছেন রেফারি জি এম
চৌধুরী নয়ন।
জলসিঁড়ি মাঠে হওয়া এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে সোমবার। রেফারিদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্নও উঠেছে জোরেশোরে।
ঘটনা
সিটি ক্লাব ও বাফুফে এলিট একাডেমি ম্যাচের। ওই ম্যাচে রেফারি নয়ন
নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা শেষে যোগ করা সময় দেন সাত মিনিট। যোগ করা সময়ের
পঞ্চম মিনিটে পেনাল্টি পায় এলিট একাডেমি। সফল স্পট কিকে ম্যাচটি তারা শেষ
করে ১-১ সমতায়।
ওই পেনাল্টির সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেনি সিটির সমর্থক ও
কর্মকর্তারা। মাঠে ঢুকে তারা রেফারি নয়নকে মারধোর করেন। এ নিয়ে তিনি
গণমাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন ওই ম্যাচের পরিস্থিতি।
“আমার অপরাধ কেন
পেনাল্টি দিলাম। কিন্তু ওটা তো জেনুইন পেনাল্টি হয়েছে। ওই পেনাল্টিতে সিটি
ক্লাব তিন পয়েন্ট নিতে পারেনি। এই ক্ষোভ আমার ওপর দিয়ে মিটিয়েছে। ওরা এক
কর্মকর্তাসহ মাঠে ঢুকে আমার ওপর হামলা করে। কোমর ও বুকসহ নানান জায়গায়
ব্যথা পেয়েছি। অন্যরা না বাঁচালে বড় বিপদ হতো।”
চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে এর
আগে কর্মকর্তাদের রোষানলে পড়েছেন রেফারি জসিম আক্তার, নাজমুল হুদা ও গোলাম
রসুল। তাদের দিকে বোতল ও নানা কিছু ছোঁড়া হয়েছে। রেফারিদের নিরাপত্তা নিয়ে
উদ্বেগের কথা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানালেন বাফুফের হেড অব রেফারিজ
আজাদ রহমান।
“রেফারিদের সম্মান প্রাপ্য। তারা যদি এভাবে আক্রমণের শিকার হন, তাহলে কিভাবে হবে। রেফারিদের প্রতি আক্রমণ কোনোভাবেই কাম্য নয়।”