কুমিল্লার
চান্দিনায় সফিউল্লাহ (১৫) নামে এক হোটেল কর্মচারীর গায়ে ভাতের গরম মাড়
ঢেলে দেয় বাবুর্চি। এতে ওই কর্মচারীর শরীরের প্রায় ২০ শতাংশ পুড়ে গেছে। এ
ঘটনায় হোটেল বাবুর্চি মো. কাশেম মিয়া (৩৫) কে আটক করে পুলিশে দেয় হোটেল
মালিক ও কর্মচারীরা।
রবিবার (১১ মে) দুপুর পৌঁনে ৩টায় চান্দিনা উপজেলা সদরের পূর্ব বাজারের ‘রনি হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট’ নামে একটি হোটেলে ওই ঘটনা ঘটে।
আহত হোটেল কর্মচারী সফিউল্লাহ কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার ভানী ইউনিয়নের খিরাইকান্দি গ্রামের অলিউল্লাহ’র ছেলে।
হোটেল বাবুর্চি কাশেম মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাছিরনগর উপজেলার নূরপুর গ্রামের মো. কাদের মিয়ার ছেলে।
হোটেল
মালিক সফিকুল ইসলাম জানান- হোটেলের রান্না ঘরে ভাতের মাড় ছাঁকার সময়
কর্মচারী সফিউল্লাহ’র সাথে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে ভাতের গরম মাড় ঢেলে
দেয়। চিৎকার শুনে আমি পিছনে গিয়ে এ ঘটনা দেখি। তাৎক্ষনিক ভাবে তাকে
চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠাই এবং বাবুর্চিকে আটক করে থানায়
ফোন করে পুলিশে দেই।
আহত সফিউল্লাহর পিতা কৃষক অলিউল্লাহ জানান- আমার
চার সন্তানের মধ্যে সফিউল্লাহ দ্বিতীয়। মাদ্রাসায় হেফজ বিভাগে পড়া অবস্থায়
লেখাপড়ায় অমনোযোগী হওয়ায় গত তিন মাস আগে তাকে চান্দিনার রনি হোটেলে দেই।
আমার ছেলে যদি অপরাধ করতো হোটেল এর মালিক বা আমাকে বলতে পারতো বাবুর্চি।
এভাবে আমার ছেলের শরীরে ভাতের মাড় ঢেলে শাস্তি দিল কেন?
চান্দিনা
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ডা. ফারজানা আক্তার জানান- আহতের
শরীরের প্রায় ২০ শতাংশ পুড়ে গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কুমিল্লা মেডিকেল
কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি)
মো. জাবেদ উল ইসলাম জানান- ঘটনা শুনার পরপর পুলিশ পাঠিয়ে বাবুর্চিকে
হেফাজতে আনা হয়েছে। অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।