কুমিল্লার
দেবিদ্বারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাব্বির হোসেন নামে এক কিশোরকে
গুলি করে হত্যার অভিযোগে মো. সিরাজুল ইসলাম সরকারকে (৬১) নামে সাবেক এক
ইউপি চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার সিরাজুল ইসলাম সরকার
উপজেলার ৭ নং এলাহাবাদ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের
সভাপতি। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ
(ওসি) শামসুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ। শুক্রবার (৯ মে) দিবাগত রাত আড়াইটার
দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার নিজ গ্রাম মোহাম্মদপুর থেকে তাকে আটক করে
দেবিদ্বার থানা পুলিশ।
জানা গেছে, গত বছরের ৫ আগষ্ট স্বৈরাচার হাসিনা
সরকারের পতনের পর ছাত্রজনতা দেবিদ্বার থানা ঘেরাও করার সময় সাব্বির হোসেন
মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে
নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ১ মাস আট দিন চিকিৎসার পর বাড়ি নিয়ে আসলে ১৪ আগস্ট
সকালে সাব্বির মারা যায়। নিহত সাব্বির হোসেন মুরাদনগর উপজেলার কাজিয়াতল
গ্রামের মৃত আলমগীর হোসেনের ছেলে। বাবা মারা যাওয়ার পর মায়ের সাথে
দেবিদ্বার পৌর এলাকার ভিংলাবাড়ি গ্রামে নানার বাড়িতে থাকত। সে একটি স্কুলে
নবম শ্রেনীতে পড়ালেখার পাশাপাশি অটোরিক্সা চালিয়ে সংসার চালাত। সাব্বির
হত্যার ঘটনায় গত ৮ সেপ্টেম্বর সাব্বিরের মামা নাজমুল হাসান বাদী হয়ে সাবেক
দেবিদ্বারের এমপি আবুল কালাম আজাদসহ ৯৯ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা
দায়ের করেন। ওই মামলার ৪৯নং এজহারভুক্ত আসামি মো. সিরাজুল ইসলাম
সরকার।দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামসুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ
বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান
মো.সিরাজুল ইসলাম সরকারকে তার নিজ গ্রাম মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেপ্তার করা
হয়েছে। সে ছাব্বির হত্যা মামলার ৪৯নং এজহার নামীয় আসামি। তাকে শনিবার
দুপুরে কুমিল্লা আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।