ব্যাটসম্যানরা
বড় সংগ্রহ এনে দিয়েছিলেন। বোলাররা বাকি কাজটা সারলেন অতি সহজে। সিলেট
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিউ জিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে আরেকটি
ভালো দিন কাটাল বাংলাদেশ ‘এ’ দল।
ব্যাট-বলের উজ্জ্বল পারফরম্যান্সে
বাংলাদেশ ‘এ’ দল দ্বিতীয় আনঅফিসিয়াল ম্যাচ জিতে নিলো সহজে। এক ম্যাচ হাতে
রেখে নিশ্চিত করে ফেলল ওয়ানডে সিরিজ।
বাংলাদেশ ‘এ’ দলের অধিনায়ক কাজী
নুরুল হাসান সোহান ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন এই ম্যাচে সেঞ্চুরির দেখা
পেয়েছেন। দুজন চতুর্থ উইকেটে ২২৫ রানের জুটি গড়েছিলেন। তাদের ম্যারাথন
ব্যাটিংয়ে ভর করে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৫ উইকেটে ৩৪৪ রান করে বাংলাদেশ ‘এ’
দল। জবাব দিতে নেমে নিউ জিল্যান্ড ‘এ’ দল গুটিয়ে যায় ২৫৭ রানে। ৮৭ রানের
জয়ে দিনটা রাঙিয়েছে স্বাগতিক দল।
ব্যাটসম্যানরা বড় সংগ্রহ এনে
দিয়েছিলেন। বোলাররা বাকি কাজটা সারলেন অতি সহজে। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
স্টেডিয়ামে নিউ জিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে আরেকটি ভালো দিন কাটাল
বাংলাদেশ ‘এ’ দল।
ব্যাট-বলের উজ্জ্বল পারফরম্যান্সে বাংলাদেশ ‘এ’ দল
দ্বিতীয় আনঅফিসিয়াল ম্যাচ জিতে নিলো সহজে। এক ম্যাচ হাতে রেখে নিশ্চিত করে
ফেলল ওয়ানডে সিরিজ।
বাংলাদেশ ‘এ’ দলের অধিনায়ক কাজী নুরুল হাসান সোহান ও
মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন এই ম্যাচে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। দুজন চতুর্থ
উইকেটে ২২৫ রানের জুটি গড়েছিলেন। তাদের ম্যারাথন ব্যাটিংয়ে ভর করে আগে
ব্যাটিং করতে নেমে ৫ উইকেটে ৩৪৪ রান করে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। জবাব দিতে নেমে
নিউ জিল্যান্ড ‘এ’ দল গুটিয়ে যায় ২৫৭ রানে। ৮৭ রানের জয়ে দিনটা রাঙিয়েছে
স্বাগতিক দল।
১০১ বলে ৭টি করে চার ছক্কায় ১১২ রান করেন সোহান। মাহিদুল
১০৮ বলে ৭ চার ও ৫ ছক্কায় করেছেন ১০৫ রান। দারুণ ব্যাটিংয়ের সঙ্গে এক ক্যাচ
নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন সোহান।
টস জিতে নিউ জিল্যান্ড ‘এ’ দল বাংলাদেশ
‘এ’ দলকে ব্যাটিংয়ে পাঠায়। ১৫.১ ওভারে ৯৭ রান তুলতে বাংলাদেশ ‘এ’ দল হারায় ৩
উইকেট। চতুর্থ ওভারে পারভেজ হোসেন ইমন ১০ বলে ৮ রান করে বিদায় নেন। সেখান
থেকে এনামুল হক বিজয় ও নাঈম শেখ দলের হাল ধরেন। দুজনই ভালো ব্যাটিংয়ে
স্কোরবোর্ড এগিয়ে নেন। মনে হচ্ছিল তাদের ব্যাট থেকেই আসবে বড় ইনিংস।
দৃষ্টিনন্দন
৩টি করে চার-ছক্কায় এনামুল ৩৪ বলে ৩৯ রান করে পথ ভোলেন। তাকে অনুসরণ করেন
নাঈম শেখও। ৪১ বলে ৪০ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এরপরই বাংলাদেশ ‘এ’ দলের
ব্যাটিংয়ের দৃশ্যপট পাল্টে যায়। সোহান এসে কাউন্টার অ্যাটাকে রান তোলেন।
সময় নিয়ে আক্রমণে যান মাহিদুল।
সোহান ফিফটিতে পৌঁছান ৫৩ বলে। ফিফটি
থেকে সেঞ্চুরিতে পৌঁছতে খেলেন আরো ৩৯ বল। মাহিদুল ৬৮ বলে ফিফটির দেখা পান।
পরের পঞ্চাশ পেতে খেলেন আরো ৩৫ বল। দুজনের ব্যাটেই ছিল চার-ছক্কার স্রোত।
তাতে উড়েছে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ড। সেঞ্চুরির পথে দুজনই জীবন পেয়েছেন। ৮০
রানে ফাইন লেগে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যান সোহান। ৯১ রানে পয়েন্টে ক্যাচ তোলেন
মাহিদুল। ইনিংসের শেষ পর্যন্ত কেউই ক্রিজে ছিলেন না। মোসাদ্দেক ১০ বলে ১৩ ও
শামীম হোসেন ১ বলে ১ রান করে অপরাজিত থাকেন।
অতিথিদের সেরা বোলার ক্রিস্টিয়ান ক্লার্ক। ৭১ রানে ২ উইকেট নেন ডানহাতি পেসার। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন জ্যাক ফুলকস ও আদী অশোক।
বল
হাতে উইকেট পেতে বাংলাদেশ ‘এ’ দলকে অষ্টম ওভার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে
হয়েছে। স্পিনার মোসাদ্দেক এনে দেন ব্রু। এরপর আরো দুই উইকেট নিয়ে দলের সেরা
বোলার হয়েছেন মোসাদ্দেক। ২টি করে উইকেট পেয়েছেন পেসার শরিফুল ইসলাম,
স্পিনার তানভীর ইসলাম ও শামীম হোসেন। আরেক পেসার রেজাউর রহমান রাজা পেয়েছেন
১ উইকেট। ৭ ওভারে ৫৪ রান দিয়ে উইকেটশূণ্য ছিলেন সৈয়দ খালেদ আহমেদ।
নিউ
জিল্যান্ড ‘এ’ দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৯ রান করেন ডেল ফিলিপস। ৫৪ বলে ১৪ চার ও
২ ছক্কায় ইনিংসটি সাজান তিনি। এছাড়া জস ক্লার্কসন ৩১ বলে ৩৪ ও ক্রিস্টিয়ান
ক্লার্ক ৩৬ বলে ৩৯ রান করেন।
সিরিজ নিশ্চিত করা বাংলাদেশ ‘এ’ দল আগামী ১০ মে একই মাঠে প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করার মিশনে মাঠে নামবে।