ব্যাটারদের
হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর বোলিংয়ে বাংলাদেশের শুরুটা ছিল আশা জাগানিয়া।
কিন্তু শুরুতে দ্রুত তিনটি উইকেট নিলেও চার নম্বরে নামা ফে টানিক্লিফকে
থামাতে পারেননি কেউ। এলিজ-মেরি মার্ক্সের সঙ্গে তার জুটিতে অনায়াস জয় পায়
দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং নারী দল।
চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লা.
লে. মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার প্রথম এক দিনের ম্যাচে
বাংলাদেশ ইমার্জিং নারী দলকে ৫ উইকেটে হারায় সফরকারীরা। তিন ম্যাচ সিরিজে
১-০তে এগিয়ে তারা।
জাতীয় দলের আশপাশে থাকা সম্ভাবনাময় ক্রিকেটারদের নিয়ে
গড়া বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। বেশিরভাগ ক্রিকেটারেরই আছে আন্তর্জাতিক
অভিজ্ঞতা। কিন্তু প্রথম ম্যাচে সেই অভিজ্ঞতার ছাপ রাখতে ব্যর্থ ইশমা
তানজিম, দিলারা আক্তার, স্বর্ণা আক্তাররা।
চার নম্বরে নেমে সুমাইয়া
আক্তার খেলেন ৭৩ বলে ৫২ রানের ইনিংস। আর কেউ তেমন কিছু করতে না পারায় ১৭৯
রানের গুটিয়ে যায় স্বাগতিকদের ইনিংস। পরে ২৫ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্য ছুঁয়ে
ফেলে প্রোটিয়ারা।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই সাথি রানির উইকেট
হারায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় উইকেটে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৪৪ রানের জুটি গড়েন ইশমা
ও শারমিন সুলতানা। ভালো শুরুর পর তারা কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি।
৩ চার ও ১ ছক্কায় ৪৫ বলে ২৯ রান করেন ইশমা। অধিনায়ক শারমিনের ব্যাট থেকে আসে ৪ চারে ৪৯ বলে ৩৪ রান।
চার
নম্বরে নেমে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন সুমাইয়া। ৬ চারে ৬৯ বলে ফিফটি করেন ১৯
বছর বয়সী ব্যাটার। এরপর আর টিকতে পারেননি। দলকে দেড়শ পার করিয়ে ড্রেসিং
রুমের পথ ধরেন তরুণ ব্যাটার।
পরে আর কেউ দায়িত্ব নিতে পারেননি। দক্ষিণ
আফ্রিকার পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন ২ টেস্টসহ মোট ২৬টি আন্তর্জাতিক
ম্যাচের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ডেলমারি টাকার।
রান তাড়ায় শুরুতে সফরকারীদের
চেপে ধরেন ফারিহা তৃষ্ণা। পরপর দুই ওভারে দুই উইকেট নেন বাঁহাতি পেসার।
বাঁহাতি স্পিনে সানজিদা আক্তারও উইকেট শিকারে যোগ দিলে মাত্র ২৪ রানে ৩
ব্যাটারকে হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় প্রোটিয়ারা।
টাকারের সঙ্গে ৫৫ রানের
জুটিতে শুরুর চাপ সামলান টানিক্লিফ। ২৪ রান করা টাকারকে কট বিহাইন্ড করে
জুটি ভাঙেন স্বর্ণা। পরের ওভারে তিনি ভেরুন্নিসা রেড্ডিকে বোল্ড করলে আশার
আলো দেখতে থাকে স্বাগতিকরা।
বাংলাদেশের সেই সম্ভাবনা আর বাড়তে দেননি টানিক্লিফ ও মার্ক্স। অবিচ্ছিন্ন ৯৬ রানের জুটিতে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তারা।
৮ চারে ১১৮ বলে ৮৯ রান করেন টানিক্লিফ। বাউন্ডারি মেরে ম্যাচ জেতার পাশাপাশি নিজের ফিফটি পূর্ণ করেন মার্ক্স।
একই মাঠে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ম্যাচ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ
ইমার্জিং: ৪৭.৫ ওভারে ১৭৯ (ইশমা ২৯, সাথি ৪, শারমিন ৩৪, সুমাইয়া ৫২, তাজ
৮, স্বর্ণা ১১, দিলারা ২, দিশা ১৩, সানজিদা ৪, তৃষ্ণা ০*, ফুয়ারা ০;
মার্ক্স ৭-১-৩৩-০, টাকার ৯-০-৩২-৩, কুলা ৬-০-২০-১, জোন্স ৭-০-৩০-১, এনজুজা
৮.৫-২-২৭-২, রাপো৬-০-২২-০, জাফটা ৩-০-১২-২, ক্যান্ডলার ১-০-২-১)।
দক্ষিণ
আফ্রিকা ইমার্জিং: ৪৫.৫ ওভারে ১৮০/৫ (ক্যান্ডলার ১০, থাবেটে ০, জাফটা ০,
টানিক্লিফ ৮৯*, টাকার ২৪, রেড্ডি ১, মার্ক্স ৫০*; ফারিহা ৮.৫-২-৩২-২,
ফুয়ারা ৯-১-২৫-০, সানজিদা ৯-১-২৮-১, দিশা ৭-০-৪৬-০, স্বর্ণা ১০-০-৩৭-২,
ইশমা ১-০-৯-০)
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং৫ উইকেটে জয়ী
প্লেয়ার অব দা ম্যাচ: ফে টানিক্লিফ